ন্যাভিগেশন মেনু

দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ, মৃত্যু দ্বিগুণ হলেও স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত


বিশ্বজুড়েই  কোভিড-১৯-এর দ্বিতীয় আছড়ে পড়েছে। আগেই সতর্ক করা হয়েছিল, শীত সমাগত, তাই করোনা হানা দেবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত মাসেই দেশবাসীকে এ নিয়ে সতর্ক করে দিয়েছিলেন। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীদের আগাম প্রস্তুতি নিতে বলেছিলেন। 

শোনা যাচ্ছে মাস্ক না পড়লে ৫ হাজার টাকা জরিমানা গুণতে হবে। এটা একটা কার্যকর উদ্যোগ। শীতের শুরুতেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে এবং মৃত্যু দ্বিগুণ হয়েছে।  মৃত্যু বাড়লেও দেশবাসীর কাছে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত। সেজন্য  করোনা ভাইরাসে দেশে প্রতিদিনই মৃত্যু বেড়ে চলেছে। 

তারপরেও মানুষের মাঝে এর কোন প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে না। মাস্ক পড়ার যে সরকারি নির্দেশনা রয়েছে তাও মানছে না কেউ কেউ। এ অবস্থায় জনসচেতনতা বাড়াতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। প্রয়োজনে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে সরকার কঠোর হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। 

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৪৪৮ জন।আগে দিনে এ মৃত্যু সংখ্যা ছিল ১৬/১৮ জন।  দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা পৌঁছেছে ৪ লাখ ৫১ হাজার ৯৯০ জন।জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা অনুযায়ী করোনা রোগী শনাক্তে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে ২৫তম স্থানে রয়েছে। 

আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩২তম অবস্থানে।  এদিকে ঢাকার সড়কে চলাচল করা অনেকের মুখেই মাস্ক নেই। ব্যবসায়ীরাও মাস্ক ছাড়া কেনাবেচা করে যাচ্ছেন। গণপরিবহনেও যাত্রীদের মাস্ক ছাড়া যাতায়াত করতে দেখা গেছে। চালক-হেলাররাও মাস্ক ব্যবহার করছেন না। 

তার মাঝে তো সামাজিক দূরত্বের বালাই নেই।ঢাকার কাওরান বাজারে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।এ সময় মাস্ক না পরা ক্রেতা, বিক্রেতা ও পথচারীদের বেশ কয়েকজনকে ১শ' থেকে দু'শ টাকা করে জরিমানা করা হয়। 

যাদের মাস্ক নেই তাদের মধ্যে মাস্ক বিতরণ ও করোনা সম্পর্কে সচেতন করা হয়। এভাবে দেশের বিভিন্ন জেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করা হয়।

এস এস