ন্যাভিগেশন মেনু

দেশে সাড়ে ৫ কোটি মানুষের দেহে অ্যান্টিবডি এসেছে : ড. বিজন কুমার


বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের গতিবিধি নিয়ে যারা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন, তাদের একজন বাংলাদেশের ড. বিজন কুমার শীল। বিজ্ঞানী ও গবেষক ড. বিজন প্রথম আলোচনায় এসেছিলেন ছাগলের রোগ প্রতিরোধক টিকা আবিষ্কার করে। 

বিজ্ঞানী বিজন শীল বিশ্বজুড়ে সাড়া ফেলেছিলেন ২০০৩ সালে সিঙ্গাপুরে ছড়ানো সার্স ভাইরাস শনাক্তের কিট উদ্ভাবন করে। এবার তার নেতৃত্বে করোনা শনাক্তে র্যা পিড ডট ব্লট কিট উদ্ভাবন করেছে। 

তবে এখনও তা সরকারের অনুমোদন পায়নি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) তাদের কিটের সক্ষমতা যাচাই হলেও, তার ভিত্তিতে উৎপাদন, বাজারজাতকরণের অনুমতি দেয়নি ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর। 

তারা পুনরায়  কিটের সক্ষমতা যাচাইয়ের সুপারিশ করেছে।কভিড বিষয়ে বিজনবাবু বলেন, আমার মনে হয়, শীতের আগেই পরিত্রাণ পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। মানে ওইরকম হবে না। নির্দিষ্ট এলাকায় থাকতে পারে, যে এলাকায় একেবারে করোনা হয়নি।

জুনের মাঝামাঝি সময় তিনি বলেছিলেন- ‘আমরা ইতিমধ্যে করোনার পিক টাইমে চলে এসেছি কিংবা কাছাকাছি এসেছি। জুন পেরিয়ে গেছে, এ সম্পর্কে বিজন শীল  বলেন, করোনার সর্বোচ্চ সংক্রমণ কিংবা সর্বনিম্ন সংক্রমণ নির্ভর করবে এলাকাভিত্তিক। 

যেমন যুক্তরাষ্ট্রে এক প্রদেশে পিক হচ্ছে, আরেক এলাকায় শুরু হচ্ছে।  আমার মনে হয়, ঢাকা শহরে সর্বোচ্চ সংক্রমণ পার হয়ে গেছে। এখন সংক্রমণ কমার মধ্যে আছে। আমাদের সামান্য গবেষণায় পেয়েছি, অসংখ্য মানুষের মধ্যে ইমিউনিটি (করোনা প্রতিরোধ ক্ষমতা) এসেছে। 

যদি কোনো পরিবারের একজন করোনায় আক্রান্ত হয়ে থাকে, ওই পরিবারের বাকিদের মধ্যে হরাইজেন্টালি স্পিড (আনুভূমিক সংক্রমণ) করেছে।

যেটাকে বলা হয়, মাইল ইনফেকশন (করোনার মৃদু উপসর্গ দেখা যাওয়া) হয়ে তাদের মধ্যে অ্যান্টিবডি ডেভেলপ করেছে। এ জাতীয় মানুষের সংখ্যা অসংখ্য। আগে থেকেই যাদের শারীরিক সমস্যা ছিল, তাদের বেশি হয়েছে।

যাদের সমস্যা ছিল না, তাদের খুব কম হয়েছে বা একেবারেই উপসর্গ দেখা যায়নি। পরিবারের একজনের হলে বাকিদের মধ্যে হরাইজেন্টালি ট্রান্সমিট (আনুভূমিক সংক্রমণ) করেছে। যার একবার হয়েছে, সে মাস্ক পরা শুরু করেছে। পরিবারের সবাই তখন মাস্ক পরা শুরু করেছে। 

তখন দেখা গেছে, ভাইরাসটা ট্রান্সমিশন হয়েছে, কিন্তু খুব কম, সামান্য পরিমাণে। তিনি বলেন, একটা পরিবারের স্যাম্পল দেখলাম- প্রথমে একজন পিসিআরে করোনা পজিটিভ ছিল, বাকি ৮ জনের মধ্যে অ্যান্টিবডি চলে এসেছে। হয়তো আপনি অনুভব করেন যে, মাথাব্যথা হচ্ছে বা একটু পেটে সমস্যা, সামান্য কাশি- পরে সেরে গেছে। 

এই সংখ্যা কিন্তু বাংলাদেশে এখন অনেক। তারা কিন্তু আমাদের দেশের ভাইরাসকে ইরাডিকেট (ধ্বংস) করতে সাহায্য করবে। কারণ এই মানুষগুলোর মধ্যে ভাইরাস আর গ্রো (টিকতে না পারা) করতে পারবে না। না করতে পারলে ভাইরাস কিন্তু আস্তে আস্তে বিলীন হয়ে যাবে।

এস এস