ন্যাভিগেশন মেনু

দ্বীপ উপহার নিয়ে সিন্ধবাসী ও পাকিস্তান সরকার মুখোমুখি


সিন্ধু প্রদেশে জনবিরোধী কিছু কর্মকাণ্ড নিয়ে ইতিমধ্যে পাকিস্তানের সেনাদের সঙ্গে সেখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে  একপ্রস্থ রক্তক্ষয়ী লড়াই হয়ে গিয়েছে। এতে উভয়পক্ষে হতাহতও হয়েছে। ফের প্রদেশটির জনগণের আপত্তি উপেক্ষা করে সিন্ধুর ২টি দ্বীপ ইজারা দিতে যাচ্ছে। সিন্ধি সরকার এবং কয়েকটি বালুচ দল এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে প্রতিবাদ জানিয়েছে। এ নিয়ে দু’পক্ষ ফের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে।

পাকিস্তানের ইমরান খান সরকার সিন্ধুবাসী বা তার সরকারের সম্মতি না নিয়ে বেইজিংয়ের আগ্রহের পরিপ্রেক্ষিতে সিন্ধুর বুদ্ধ ও বুন্দল দ্বীপকে চিনকে উপহার হিসেবে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে বলে খবর বেড়িয়েছে। এর লক্ষ্য হচ্ছে চীন-পাকিস্তান সামুদ্রিক সহযোগিতার মাধ্যমে আরব সাগরে চিনের অবস্থান আরো শক্তিশালী করা।

 ইমরান খান গত বছরের চিন সফরকালে সিন্ধু ও বেলুচিস্তানের উপকূলে বিভিন্ন দ্বীপের উন্নয়নের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। এই অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে আটটি দ্বীপের উন্নয়নকল্পে  সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে রাজি হয়। এই দ্বীপগুলির উন্নয়নের জন্য বেশিরভাগ প্রাথমিক কাজ শেষ করেছেন। চিনা ইঞ্জিনিয়াররা গওয়াদার ও করাচি শিপইয়ার্ডের সাথে যুক্ত বিভিন্ন প্রকল্পে কাজ করছিলেন। করাচি এবং গওয়াদারের কাজ যদি চলমান গতিতে অব্যাহত থাকে, তবে বিশ্ব আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আরব সাগরে চিনা সাবমেরিন ঘাঁটি দেখতে পাবে।

কর্মসূচি বাস্তবায়নে ইতিমধ্যে পাকিস্তান দ্বীপ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ- পিআইডিএ আগেই অনুমোদন দিয়েছে। এ ব্যাপারে সিন্ধি জনগণের আপত্তির ক্ষেত্রে পাকিস্তান সতর্ক।কেননা সিন্ধি সরকার এবং কয়েকটি বালুচ দল এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে আসছে। যাইহোক, এই প্রতিবাদ বা আইনী লড়াই সিন্ধুদের সকলের সম্পত্তি দখল করা হয়েছে তার  ন্যায়বিচার পাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম।

সিন্ধুবাসীর কাছ থেকে ইমরান সরকার দুটি দ্বীপ ছিনিয়ে নিয়ে তা চিনের কাছে ইজারা দেওয়া কোনও কল্যাণ বয়েন আনবে না। উন্নয়ন সহায়তার নামে চিন থেকে যে তহবিল পাওয়া যাবে তা অবশেষে সাধারণ মানুষের ঋণের বোঁঝা বাড়িয়ে তুলবে। তদুপরি, ইমরান খানের আশা দুরাশায় নিপতিত হবে কেননা  ওই দ্বীপপুঞ্জের উপর পাকিস্তানের কোনও নিয়ন্ত্রণমূলক অংশীদারিত্ব থাকবে না।

বিশ্লেষকদের মতে- এ দুটি দ্বীপপুঞ্জ ইজারাদান কেবল শুরু মাত্র। এর পরে সিন্ধু ও বেলুচিস্তানে বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক ছাড় থাকবে। তারা এখন অন্য কারও স্বার্থে তাদের সম্পত্তি পূর্ববর্তী করতে চায় কিনা তা এখন সিন্ধুবাসীর উপর নির্ভর করে। সাধারণ মানুষ তাদের সম্পত্তি রক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিলে ইমরান খানের সরকার এবং পাকিস্তানের সামরিক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে নৃশংসভাবে দমন হবে। মিথ্যা অভিযোগ আরোপ করা হবে এবং গ্রেপ্তারের পথ রয়েছেই। যা পরবর্তীতে অবশ্যম্ভাবীভাবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদাযয়ের সমালোচনার মুখে পড়বে পাকিস্তান।

ওআ / এস এস