ন্যাভিগেশন মেনু

পরিবেশ সুরক্ষায় জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করতে হবে: পরিবেশ মন্ত্রী


প্রতিটি জীবই কোনও না কোনওভাবে পরিবেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, তাই জীবজগতের ভারসাম্য বজায় রাখা ও পরিবেশের সুরক্ষার স্বার্থে সকল জীবকেই বাঁচতে দিতে হবে বলে জানিয়েছেন বন ও পরিবেশ মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন।

রবিবার (৬ ডিসেম্বর) মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে “হাওর এলাকার জনগণের জীবনমান উন্নয়ন ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে ইমামদের মাধ্যমে উদ্বুদ্ধকরণ” শীর্ষক সেমিনারে ঢাকার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

বন মন্ত্রী বলেন, জীববৈচিত্রে ভরপুর হাওরে রয়েছে নানা প্রজাতির মাছ, পাখি ও বৃক্ষরাজি। কিন্তু বর্তমানে কিছু মানুষ ক্ষুদ্র ও সাময়িক স্বার্থে হাওরে কারেন্ট জাল, নেট জাল ইত্যাদি ব্যবহার করে ছোট মাছ ধরছে ও পাখি নিধন করছে। বৃহত্তর স্বার্থে এ সকল কার্যকলাপ বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। এসব বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে মন্ত্রী ইমামদের প্রতি আহ্বান জানান।

মন্ত্রী বলেন, এ কর্মসূচির মাধ্যমে প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবেলা, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, বন্যা পরবর্তী দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা, বনায়ন, পশু পালন, হাস-মুরগী পালন, কৃষি ও মৎস্য প্রভৃতি বিষয়ে ইমামরা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হলে সাধারণ মানুষকে উদবুদ্ধ করা সহজ হবে।

মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেন, শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে মদিনা সনদের মূল কথা প্রচার করতে হবে। ধর্ম যার যার। ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করা যাবে না। মা-বাবার প্রতি সন্তানদের দায়িত্ব, নৈতিকতা, সামাজিকতা, পারিবারিক মূল্যবোধের বিষয়গুলো খুতবায় নিয়মিত বলতে হবে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন সূত্রে জানা যায়, হাওর অঞ্চলের কিশোরগঞ্জ, সিলেট, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নেত্রকোনা জেলার ৫৭টি উপজেলার মসজিদের ইমাম ও আলেম-ওলামাদের মাধ্যমে জনগণকে উদ্বুদ্ধকরণের লক্ষ্যে ২৫ হাজার ৮৭০ জন  ইমাম, আলেম-ওলামা ও ধর্মীয় ব্যক্তিত্বকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।

হাওর এলাকার জনগণকে সচেতন করার লক্ষ্যে পোস্টার ও প্রাক খুতবা মুদ্রণ ও বিতরণ এবং সভা, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, ওয়ার্কশপ ইত্যাদি আয়োজন করা হবে। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইমাম, আলেম-ওলামার মাধ্যমে হাওর অঞ্চলের জনগণকে স্ব-কর্মসংস্থানে উদবুদ্ধ করা হবে।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ, সিভিল সার্জন ডা. তউহীদ আহমদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক কাজী লুৎফুল বারী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মোঃ সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ এ সময় অনলাইনে যুক্ত ছিলেন।

এডিবি/