ন্যাভিগেশন মেনু

নিশ্চয়তা দিচ্ছি নির্বাচন ফেয়ার হবে: ওবায়দুল কাদের


নিশ্চয়তা দিচ্ছি নির্বাচন ফেয়ার হবে। ইভিএম-এ ভোট হবে, নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ থাকবে। মির্জা ফখরুলের দুঃশ্চিন্তার কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রবিবার (৮ মে) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

সেতু মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- সব দল নির্বাচনে আসুক। বিএনপিসহ সব দলকে নিয়েই ভোট করতে চাই। নিশ্চয়তা দিচ্ছি নির্বাচন ফেয়ার হবে। ইভিএম-এ ভোট হবে, নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ থাকবে। মির্জা ফখরুলের দুঃশ্চিন্তার কারণ নেই।

তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নিলে অস্তিত্ব সংকটে পড়বে। তাদের (বিএনপি) অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতেই নির্বাচনে আসতে হবে। আমরাও একটি শক্তিশালী বিরোধীদলকে সংসদে স্বাগত জানাতে চাই। চাইবো বিরোধীদলের স্ট্যান্ড থাকুক।

বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে কোনো উদ্যোগ থাকবে কি না- জানতে চাইলে আওয়ামী লীড়ের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা বলবো তাদেরকে নির্বাচনে আসতে। যদিও এটি বলা উচিৎ না। নির্বাচনে আসা তাদের অধিকার, এটা সুযোগের ব্যাপার না। বিএনপি অধিকার প্রয়োগ না করলে তাদের অস্তিত্ব সংকট হবে- আর সে ধরনের পরিস্থিতি তারা তৈরি করবে না, এটা আমার বিশ্বাস।’

 ‘অনির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে হবে’- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এটা পুরোনো কথা, নতুন কিছু নয়। নির্বাচিত-অনির্বাচিত বলে লাভ নেই। তাদের লোকও সংসদে আছেন। সংসদে বিএনপি সদস্যদের পাঠিয়েছে, তারাও কি অনির্বাচিত? স্পিকার তাদের কথা বলার সুযোগ দেন। প্রধানমন্ত্রীও চান তারা আসুক। আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। ফখরুল সাহেব নিজেই গুরুত্বহীন হয়েছেন, তিনি সংসদে থাকলে জোরালোভাবে সংসদে কথা বলতে পারতেন।’

আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- আওয়ামী লীগের সম্মেলন হবে নিয়মিত। তিন বছর শেষ হওয়ার আগেই সম্মেলন করেছি। এবারও ডিসেম্বরে কমিটির মেয়াদ শেষ হবে। বিজয়ের মাসেই আমরা সম্মেলন করতে চাই।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আগামী নির্বাচন ও সম্মেলনের দিকে নজর রেখে দলের সভাপতি প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। আগামী ২৩ জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা-বার্ষিকীর আয়োজন করতে বলেছেন। ঘোষণাপত্র আপডেট করে নির্বাচনী ইশতেহারও প্রস্তুতের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা-উপজেলার সম্মেলন জাতীয় সম্মেলনের আগে শেষ করতে হবে।