ন্যাভিগেশন মেনু

নড়িয়ায় তিনটি বিদ্যালয়ে পানি, খোলা আকাশের নিচের ক্লাস


শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় তিনটি বিদ্যালয়ে পানি উঠে যাওয়ায় দুটি বিদ্যালয়ে খোলা আকাশের নিচে ও একটিতে পার্শ্ববর্তী এক বাড়ির বারান্দায় চট বিছিয়ে ও স্কুলের বেঞ্চ নিয়ে পাঠদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) একইভাবে পাঠদানের ব্যবস্থা করা হয়। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ক্লাস শুরু হয়। চলে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।

বিদ্যালয় তিনটি হলো, চর জপসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মৃধাকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পূর্ব নড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, সরকারি নির্দেশনায় এক বছর আট মাস বন্ধ থাকার পর গত রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিদ্যালয়গুলো খুলে দেওয়া হয়। কিন্তু শ্রেণিকক্ষে জোয়ারের পানি ঢুকায় শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়ার উপযোগী ছিল না। এ কারণে বিদ্যালয় থেকে কিছুটা দূরে অন্যের বাড়ির উঠানে সিমেন্টের বস্তার চট ও স্কুল থেকে বেঞ্চ এনে পাঠদানের ব্যবস্থা করা হয়।

পূর্ব নড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসমা আক্তার বলেন, ২০১৮ সালের আগস্ট মাসে বিদ্যালয়টি নদীগর্ভে বিলীন হয়। পরে ওই এলাকায় অস্থায়ী একটি টিনের ঘর তৈরি করে দেয় জেলা শিক্ষা অফিস। সেখানেই পাটদানের ব্যবস্থা করা হয়। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ১২ সেপ্টেম্বর ক্লাস চালু হলেও বিদ্যালয়টির চারদিকে জোয়ারের পানি ও কাদা থাকায় ক্লাস করানো সম্ভব হচ্ছে না। তাই বিদ্যালয়ে কাছাকাছি একটি বাড়ির আঙ্গিনায় বিদ্যালয়ের বেঞ্চ নিয়ে ক্লাস করাচ্ছি। তবে দ্রুত বিদ্যালয় ভবন বরাদ্দ না পেলে শিক্ষার্থী ঝরেপড়ার আশংকা রয়েছে।

পূর্ব নড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী আনিকা, সাব্বির হোসেন বলে, আমাদের বিদ্যালয়টি পদ্মার ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে। এখন নতুন করে আরেক জায়গায় টিনের তৈরি স্কুল হয়। সেখানে এখন জোয়ারের পানি এসে ঢুকেছে। ওইখানে আমরা পড়তে যাইতে পারতাছি না। বর্তমানে আমাদের বাড়ি থেকে দূরে একটি বাড়িতে ক্লাস নেওয়া হয়। আমাদের একটি পাকা স্কুল হলে ভালো হতো।

চর জপসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হেলেনা আক্তার বলেন, বিদ্যালয়ের মাঠে জোয়ারের পানি ঢোকায় বিদ্যালয়ে ক্লাস নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই বিদ্যালয়ের নিকটবর্তী একটি বাড়ির উঠানে ক্লাস নিচ্ছি। শিক্ষার্থী ও আমাদের কষ্ট হচ্ছে।

শরীয়তপুর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, পূর্ব নড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদীগর্ভে বিলিন হওয়ার পর অস্থায়ী একটি স্কুল ঘর তৈরি করা হয়েছে। সেখানে সম্প্রতি জোয়ারের পানি ঢুকেছে, তার কারণে ক্লাস করা সম্ভব হচ্ছে না। পার্শ্ববর্তী একটি বাড়িতে ক্লাস চলমান রয়েছে। এছাড়া চর জপসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মৃধাকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে পানি। তাই অন্যত্র ক্লাস চলছে। পানি কমছে গেলে বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হবে।

আরএইচআর/সিবি/এডিবি/