ন্যাভিগেশন মেনু

আজ পবিত্র আখেরি চাহার শোম্বা


আজ ২৮ সফর পবিত্র আখেরি চাহার শোম্বা বা মহানবী (সা.)-এর রোগমুক্তি দিবস। এ দিনটি মুসলিম বিশ্বে অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ স্মারক দিবস হিসেবে পালিত হয়।

বুধবার (৬ অক্টোবর) এ উপলক্ষে বাদ জোহর ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ সাহানে আলোচনা সভা ও দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।

অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে অংশগ্রহণ করবেন সাবেক পেশ ইমাম ও ওয়াপদা ওয়াকফ স্টেট কওমি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতি মাওলানা রফিক আহমেদ। সভাপতিত্ব করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সচিব মোহাম্মদ আবদুল কাদের শেখ (উপসচিব)।

ফারসিতে এ দিনটিকে আখেরি চাহার শোম্বা নামে অভিহিত করা হয়। ফারসি শব্দমালা আখেরি চাহার শোম্বা অর্থ শেষ চতুর্থ বুধবার।

ইসলামের সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর জীবনে আখেরি চাহার শোম্বা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

২৩ হিজরির শুরুতে রাসূলুল্লাহ (স.) গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। ক্রমেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তিনি এতোটাই অসুস্থ হয়ে পড়েন যে, নামাজের ইমামতি পর্যন্ত করতে পারছিলেন না।

২৮ সফর বুধবার মহানবী (স:) সুস্থ হয়ে ওঠেন। দিনটি ছিল সফর মাসের শেষ বুধবার।

এই দিন কিছুটা সুস্থবোধ করায় রাসূলুল্লাহ (স.) গোসল করেন এবং শেষবারের মতো নামাজে ইমামতি করেন। মদিনাবাসী এই খবরে আনন্দ-খুশিতে আত্মহারা হয়ে গেলেন এবং দলে দলে এসে নবীকে (স.) একনজর দেখে গেলেন। সকলে তাদের সাধ্যমতো দান-সাদকা করলেন, শুকরিয়া নামাজ আদায় ও দোয়া করলেন।

নবীর রোগমুক্তিতে তার অনুসারীরা এতোটাই খুশি হয়েছিলেন যে, তাদের কেউ তাদের দাসদের মুক্ত করে দিলেন, কেউবা অর্থ বা উট দান করলেন; যেমন: আবু বকর সিদ্দিক (রা:) ৫ হাজার দিরহাম, উমর (রা:) ৭ হাজার দিরহাম, ওসমান ১০ হাজার দিরহাম, আলী (রা) ৩ হাজার দিরহাম, আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা:) ১০০ উট দান করেন।

রাসুলুল্লাহ (সা.) জীবনে শেষবারের মতো রোগমুক্তি লাভ করেন বলে দিনটিকে মুসলমানেরা প্রতিবছর ‘শুকরিয়া দিবস’ হিসেবে পালন করেন। নফল এবাদত বন্দেগির মাধ্যমে দিবসটি অতিবাহিত করেন তারা।