ন্যাভিগেশন মেনু

পশ্চিমবঙ্গে জঙ্গিদের অ্যাকাউন্টে মিলছে বিপুল অর্থ


আল কায়দা জঙ্গিযোগে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে পাকড়াও হয়েছে ছ’জন। কীভাবে বাংলায় জাল বিছিয়েছিল এই জঙ্গি গোষ্ঠী, সে ব্যাপারে তদন্তে নেমে এনআইএ’র নজর মুর্শিদাবাদ, মালদহ ও বীরভূমের পরিযায়ী শ্রমিকদের দিকে।

ভারতে সীমান্ত অঞ্চলের যে পরিযায়ী শ্রমিকরা কেরলে কাজ করতে গিয়ে এখনও আটকে রয়েছেন, তাঁদের পরিবারের বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

পাশাপাশি দেখা গিয়েছে, কেরলে নির্মাণ শিল্পে কাজ করতে গিয়ে সেখান থেকে লকডাউনের সময় কম করে সাতজন পরিযায়ী শ্রমিক পশ্চিমবঙ্গের বাড়িতে ফেরত আসার নাম করেও এই রাজ্যে পা রাখেনি।

তারা কোথায় গিয়েছে এবং কেন গিয়েছে সে ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়ার পর ওই যুবকদের জেরা করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

আল কায়দা নাশকতামূলক ক্রিয়াকলাপ চালাতে যে আর্থিক মদত দিত রাজ্যের জঙ্গিদের তা পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ ঘুরে কেরল ও মুর্শিদাবাদের জঙ্গি নেতাদের হাতে পৌঁছত। তারই সূত্র ধরে সন্ধান চলছে মালদহ ও মুর্শিদাবাদের কয়েকটি হাওয়ালা চক্রের।

এই আর্থিক মদতের পিছনে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের হাত রয়েছে বলে অনেকটাই নিশ্চিত গোয়েন্দারা। এনআইয়ের হাতে যে ৯ জন আল কায়দার সদস্য গ্রেপ্তার হয়েছে, তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা। তাদের মধ্যে চারজনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কয়েক লক্ষ টাকা পাওয়া গিয়েছে।

মুর্শিদ হাসান, নাজমুস সাকিব, আতিউর রহমান ও আবু সুফিয়ানের অ্যাকাউন্টে এত টাকা কীভাবে গত দু’মাসে ঢুকল, সে ব্যাপারে তদন্ত করছেন গোয়েন্দারা। তাঁরা জানিয়েছেন, একেকজন মাসে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত পেয়েছে।

মুর্শিদাবাদ থেকে মালদহ, দক্ষিণ দিনাজপুর, বীরভূমের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে যুবকদের মগজ ধোলাই করার জন্য যাতায়াতের খরচ ওই টাকা থেকেই করতে হত। এছাড়াও বিস্ফোরক বর্ম তৈরির জন্য খরচ আসত পাকিস্তান থেকেই। অনুমতি ছিল বাকি অর্থের বেশ কিছু অংশ নিজেদের ইচ্ছেমতো খরচ করতে পারবে জঙ্গিরা।

এদিকে খাগড়াগড় কাণ্ডের সঙ্গে বীরভূমের যে জঙ্গি যোগসাজশের সন্ধান মিলেছিল, সেদিকেও বিশেষ নজর রাখা হয়েছে। বাংলাদেশে আইএসআই চক্র সক্রিয় বলে অভিযোগ। তাদেরই মদতে মালদহ, মুর্শিদাবাদ ও বালুরঘাট অঞ্চলের কয়েকজন হাওয়ালা কারবারির হাতে পৌঁছত টাকা।

এস এস