ন্যাভিগেশন মেনু

পাপুলসহ আটজনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ২১ এপ্রিল


মানিলন্ডারিং আইনে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী শহিদুল ইসলাম পাপুলসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২১ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বুধবার (১০ মার্চ) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু মামলার তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল করেনি। এজন্য ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এ দিন ধার্য করেন।

এর আগে ২২ ডিসেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সহকারী পুলিশ সুপার (অর্গানাইজ ক্রাইম) আলামিন বাদী হয়ে কাজী শহিদুল ইসলাম পাপুলসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইনে মামলাটি দায়ের করেন।

অর্থপাচার ও মানবপাচারের মতো অপরাধে জড়িত থাকার দায়ে গত ২৮ জানুয়ারি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলকে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন কুয়েতের আদালত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি পাপুলকে ১৯ লাখ কুয়েতি দিনার (প্রায় ৫৩ কোটি ২১ লাখ টাকা) জরিমানা করা হয়েছে। কুয়েতের ফৌজদারি আদালতের বিচারক আবদুল্লাহ আল ওসমান পাপুলকে দোষী সাব্যস্ত করে এই রায় দেন।

পাপুল ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব তদন্ত করে মোট ৩৫৫ কোটি ৮৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা জমা থাকায় মানিলন্ডারিং আইনে ২২ ডিসেম্বর পল্টন থানায় মামলা করা হয়। যার মামলা নং- ৫৫(১২) ২০।

মামলার আসামিরা হলেন - কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল, পাপুলের স্ত্রী সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ সেলিনা ইসলাম, মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান মনির (পাপুলের ব্যক্তিগত কর্মচারী), জেসমিন প্রধান (পাপুলের শ্যালিকা), ওয়াফা ইসলাম (পাপুলের মেয়ে), কাজী বদরুল আলম লিটন (পাপুলের ভাই), গোলাম মোস্তফা (মানবপাচারে সংশ্লিষ্ট জব ব্যাংক ইন্টারন্যাশনাল প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার)।

এছাড়া মামলায় দুটি প্রতিষ্ঠানকে আসামি করা হয়েছে। সেগুলো হলো- জে. ডব্লিউ লীলাবালী ও জব ব্যাংক ইন্টারন্যাশনাল। জে. ডব্লিউ লীলাবালীর প্রোপ্রাইটর পাপুলের শ্যালিকা জেসমিন প্রধান এবং জব ব্যাংক ইন্টারন্যাশনালের প্রোপাইটর পাপুলের ভাই কাজী বদরুল আলম লিটন।

এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা মানবপাচারকারী চক্র। তারা বিভিন্ন সময় ৩৮ কোটি ২৩ লাখ ৪০ হাজার ৫৬৭ টাকা অবৈধভাবে আয় করেছেন। যার সঙ্গে পাপুল ও তার মেয়ের প্রতিষ্ঠান জড়িত।

ওয়াই এ/এডিবি