ন্যাভিগেশন মেনু

পুদিনা পাতার উপকারিতা


পুদিনা পাতা এই নামটির সাথে আমরা কমবেশি সবাই পরিচিত। এটি জনপ্রিয় সুগন্ধি এবং মসলাজাতীয় বিরুৎ প্রকৃতির গাছ । এই গাছটির কাণ্ড ও পাতা বেশ নরম। পুদিনা পাতার মূল, পাতা, কান্ডসহ সমগ্র গাছই ওষুধিগুনে পরিপূর্ণ।যার রয়েছে নানাবিধ উপকারিতা।

পুদিনা পাতা যে শুধু ওষুধিগুনেই পরিপূর্ণ তা নয় রান্নায়ও রয়েছে পুদিনা পাতার কদর। সুগন্ধির কারণে বিভিন্ন মুখরোচক কাবাব, সলাদ, বোরহানি ও চাটনি তৈরিতে ব্যবহার হয়। কাঁচা পুদিনা সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় চাটনি ও সালাদে। ইদানিং বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে টক দই এবং বোরহানি তৈরির জন্য পুদিনার ব্যবহার বাড়ছে।

আসুন জেনে নিই পুদিনা পাতার উপকারিতা ও গুণাবলী সম্পর্কে

  • পুদিনা ত্বকের যে কোনো সংক্রমণকে ঠেকাতে অ্যান্টিবায়োটিকের কাজ করে।
  • পুদিনা পাতা মুখের দুর্গন্ধ দুর করতে সহায়তা করে।
  • পুদিনা পাতার রস শ্বাস-প্রশ্বাসের নালী খুলে দেওয়ার কাজে সহায়তা করে। ফলে যারা অ্যাজমা এবং কাশির সমস্যায় পড়েন তাদের সমস্যা তাৎক্ষণিক উপশমে পুদিনা পাতা বেশ কার্যকরী।
  • পুদিনা পাতা হজম শক্তি বাড়ায়,মুখের অরুচি ও গ্যাসের সমস্যা দুর করে,কর্মক্ষমতা বৃদ্বি করে ও শরীর ঠান্ডা রাখে।
  • পুদিনা পাতার চা শরীরের ব্যাথা দুর করতে খুবই উপকারি।
  • পুদিনার শেকড়ের রস উকুননাশক হিসেবে খুবই কার্যকরী, এমনকি পাতাও।
  • স্নায়ু শান্ত করতে কাজে দেয়।
  • পিত্তে শ্লেষ্মার জ্বর, অম্লপিত্ত, আমাশা, অজীর্ণ, উদরশূল, প্রভৃতির কারনে অনেকসময় আমাদের বমি বমি ভাব আসে। এসময় পুদিনার শরবতের সাথে এক চা চামুচ তেঁতুল মাড় ও চিনি মিশিয়ে খেলে বমিভাদ দূর হয়ে যায়।
  • পুদিনা পাতার রস উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত পুদিনা পাতার রস খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে থাকে।
  • তাত্ক্ষনিকভাবে ক্লান্তি দুর করতে পুদিনা পাতার রস ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে পান করুন।ক্লান্তি নিমিষেই দুর হয়ে যাবে।
  • কফ দুর করতে পুদিনা পাতার রস,তুলসী পাতার রস,আদার রস ও মধু একসাথে মিশিয়ে খান।পুরোনো কফ দুর করতেও এই মিস্রণ অতুলনীয়।

পটাশিয়াম পূর্ণ পুদিনা পাতায় খনিজ উপাদানের মাঝে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, সোডিয়াম, ভিটামিন সি ও এ পাওয়া যাবে। চর্বি ও ক্যালরির মাত্রা কম এবং কোলেস্টেরল নেই।