ন্যাভিগেশন মেনু

প্রজননস্বাস্থ্যের চ্যাপ্টার থাকলেও শিক্ষকরা সেটি পড়ান না: শিক্ষামন্ত্রী


প্রজননস্বাস্থ্যের বিষয়ে বইয়ে চ্যাপ্টার থাকলেও শিক্ষকরা সেটি পড়ান না বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

শনিবার (৬ মার্চ) আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন আয়োজিত কিশোর-কিশোরীদের প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ে অনুষ্ঠিত এক ওয়েবিনারে তিনি এই অভিযোগ করেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘প্রশিক্ষণ দেওয়ার সময় শিক্ষকদের প্রজননস্বাস্থ্যের বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। কিন্তু এরপরও হয়তো সামাজিক কারণে বিদ্যালয়ে এই বিষয়ে পাঠদান করতে শিক্ষকরা আগ্রহী হন না। এটি একজন মানুষের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। মূল বিষয় হচ্ছে সচেতনতা। এই জায়গায় আমরা পিছিয়ে আছি।’

তিনি বলেন, ‘শুধু কিশোর-কিশোরী নয়; বাবা-মা, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং স্বাস্থ্যকমীদেরও সচেতন হতে হবে। কিশোর বয়সটি বেয়াড়া। অস্বস্তির সময়। এই অস্বস্তির সময় কিশোর-কিশোরীরা যেন স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠতে পারে, সেই ব্যবস্থা করতে হবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘এই বিষয়ে জ্ঞান না থাকায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভয়, অস্বস্তি, দ্বিধা-দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হতে পারে। এতে তাদের মানসিক সমস্যা হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রত্যেকটি স্কুলে একজন কাউন্সিলর নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশ অনুযায়ি কাউন্সিলর নিয়োগের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু করোনার কারণে উদ্যোগটি পিছিয়ে যায়। এখন আমরা প্রতিটি জেলায় একজন করে মনোবিজ্ঞানী নিয়োগ দিচ্ছি। আমরা আমাদের দুই লাখ শিক্ষকের কাউন্সিলিংয়ের বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি।’

ওয়েবিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর ড. মোহাম্মদ শরীফ (এমসিএইচ)। ‘কিশোর-কিশোরীদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যসেবার বর্তমান অবস্থা’ বিষয়ে তথ্য উপস্থাপন করেন নারীপক্ষের সদস্য ও নারীর স্বাস্থ্য এবং প্রজনন স্বাস্থ্যবিষয়ক প্রকল্প পরিচালক সামিয়া আফরিন।

তাছাড়া, এ বিষয়ের ওপর বক্তব্য রেখেছেন বাংলা অ্যাকাডেমির ফেলো অধ্যাপক ড. রতন সিদ্দিকী, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের জেমস পি গ্র্যান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথের ড. সাবিনা ফাইজ এবং পিপিআরসি’র কথা রিসার্চ অ্যাসোসিয়েটের পরিচালক উমামা জিল্লুর।

সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী প্রধান শাহীন আনাম।

এমআইআর/এডিবি