ন্যাভিগেশন মেনু

প্রেমিকাকে ধর্ষণ, আদালতের বিয়ের শর্ত মেনে জামিন পেল প্রেমিক


প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রেমিকাকে ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত যুবককে আদালত জানিয়ে দিল বিয়ে করলে সে জামিন পাবে। এ কাণ্ড ফেনী জেলার সোনাগাজীর চরদরবেশ ইউনিয়নে।

তরুণীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল একই গ্রামের জহিরুল ইসলাম ওরফে জিয়া। কিন্তু একপর্যায়ে বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় সোনাগাজী থানায় জিয়ার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন ওই তরুণী।

এর পর পুলিশ জিয়াকে গ্রেপ্তার করলেও তাকে জামিনে ছাড়াতে আইনজীবী ও স্বজনরা নিম্নআদালত থেকে উচ্চআদালতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন। কিন্তু তাতে কোনো সাড়া মেলেনি। অবশেষে উপায়ন্তর না দেখে জিয়া রাজি হন ওই তরুণীকে বিয়ে করতে।

ওই তরুণীকে বিয়ের শর্তে জিয়াকে জামিন দেওয়া হবে বলে জানান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ। আর এ বিয়ে আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়া হয় ফেনী জেলা কারা কর্তৃপক্ষকে।

তবে জামিন পেতে অবশ্যই আসামিকে আদালতে বিয়ের প্রমাণপত্র হাজির করতে হবে। আসামি জিয়ার বাবা আবু সুফিয়ান জানান, তার ছেলে বর্তমানে ফেনী কারাগারে বন্দি আছে। আদালতের সিদ্ধান্ত মেনে গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি মেয়ের বাবাসহ ওই কারাগারে গিয়েছিলেন বিয়ের তারিখ চূড়ান্ত করতে।

কিন্তু জেলার না থাকায় বিয়ের তারিখ চূড়ান্ত করা যায়নি। আগামী সপ্তাহের যে কোনো দিন বিয়ের তারিখ চূড়ান্ত হবে। জামিনের পর অনুষ্ঠান করে বউকে ঘরেও তুলবেন।

এ বিষয়ে ফেনী জেলা কারাগারের সুপার আনোয়ারুল করিম বলেন, গত কয়েক দিন আগে আমরা হাইকোর্টের একটি আদেশ পেয়েছি।

এখন নিম্নআদালতের একটি আদেশের অপেক্ষায় আছি। তবে দুপক্ষের পরিবারের সঙ্গে আমাদের কথা হচ্ছে। তারা বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে। আগামী সপ্তাহে বিয়ের দিন-তারিখ ধার্য করা হবে। আদালত এক মাসের সময় বেঁধে দিয়েছেন।

বিয়ে কখন কীভাবে হবে এমন প্রশ্নের উত্তরে জেল সুপার বলেন, দিন-তারিখ বর ও কনে পক্ষ ঠিকঠাক করে নেবে। কারাগারে শুধু ৫ মিনিটের কাজ। কাবিননামায় স্বাক্ষর করে বাকি কাজ তারা বাইরে সারবে।

ওআ/