ন্যাভিগেশন মেনু

প্রেমিকের চড়ে গৃহবধূর মৃত্যু


ভাত রান্না করতে দেরি হওয়ায় প্রেমিক ক্ষেপে গিয়ে চড় মারায় মৃত্যু হয়েছে এক গৃহবধূর। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরই গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্তকে। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের ঝাড়খণ্ডে।

সোমবার (২৪ আগস্ট) অভিযুক্ত মহাবীরকে ট্রানজিট রিমান্ডে ঝাড়খণ্ড নিয়ে যাওয়া হয়।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বছর পনেরো আগে গুসকরার এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ওই মহিলার। ওই ঘরে দম্পতির দুটি সন্তান রয়েছে। কিন্তু বছর দেড়েক আগে একই এলাকার অপর এক যুবক মহাবীর ওরফে জিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়লে এক পর্যায়ে স্বামীকে ছেড়ে প্রেমিকের সঙ্গে ঘর বাঁধার সিদ্ধান্ত নেন ওই গৃহবধূ। তাই ছেলেকে নিয়ে গুসকরা থেকে প্রেমিক মহাবীরের সঙ্গে চলে যান ঝাড়খণ্ডে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মহাবীরের ভাই অর্জুনের বাড়িতে থাকতে শুরু করে তারা। প্রথমদিকে ভালোই চলছিল। সম্প্রতি ভাত রান্না করতে দেরি হওয়ায় বধূর সঙ্গে ঝগড়া বাঁধে মহাবীরের। তখনই রাগের বশে চড় মারলে মৃত্যু হয় বধূর। ঘটনার পরই অভিযুক্ত তার ভাইকে বিষয়টি জানায়। এরপর লুকিয়ে পালিয়ে আসে গুসকরায়। অর্জুন পুলিশকে বিষয়টি জানালে ঝাড়খণ্ড পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এরপর রবিবার সন্ধ্যায় কয়েকজন ঝাড়খণ্ড থেকে একটি আ্যম্বুল্যান্স মহিলার মৃতদেহ গুসকরায় নিয়ে এসে মহাবীরের বাড়িতে পৌঁছে দেয়। কিন্তু মহাবীর ও তার পরিবার দেহ নিতে অস্বীকার করলে তারা কুনুর নদীর সেতুর নীচে দেহ ফেলে চলে যান। এতে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।

এরপর প্রথমদিকে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়, এটি করোনারোগীর দেহ। পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়। পুলিশ তদন্ত করতেই স্পষ্ট হয় গোটা বিষয়। এরপরই গ্রেপ্তার করা হয় মহাবীরকে।

ওয়াই এ/এডিবি