ন্যাভিগেশন মেনু

‘আমাদের স্বপ্ন পূরণ হবে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ শেষ হলে’


আমাদের স্বপ্ন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ শেষ হলে পূরণ হবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ড. ইয়াফেস ওসমান।

সোমবার (৩০ নভেম্বর ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ‘নিউক্লিয়ার ডে’ উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

ড. ইয়াফেস ওসমান বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প শেষ হলে আমরা গর্ব করে বলতে পারবো, বাংলাদেশ বিশ্বের ৩৩তম পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী দেশ। নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদনের স্বপ্ন পূরণের পাশাপাশি দেশকে উন্নয়নের সোপানে নিয়ে যাবে পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প।

এর আগে পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বিভিন্ন কর্মসূচিতে ‘নিউক্লিয়ার ডে’ উদযাপন করা হয়। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ড. ইয়াফেস ওসমান শান্তির পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে ‘নিউক্লিয়ার ডে’ উদ্বোধন করেন।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী বলেন, আজ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সবচেয়ে বেশি মনে পড়ছে। তিনি রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু তিনি জীবিত নেই। তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটি বাস্তবায়ন করছেন। তিনি ঈশ্বরদীবাসীসহ রূপপুরবাসীকে প্রকল্পের কাজে সহযোগীতার জন্য অভিনন্দন জানান।

এ ছাড়াও রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য একটি পাবলিক ইনফরমেশন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। ঈশ্বরদী পৌরসভার পুরাতন ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হয়। 

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প সুত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম কংক্রিট ঢালাই কাজের উদ্বোধন করেন। এরপর থেকে আন্তর্জাতিক নিউক্লিয়ার ক্লাবের সদস্য হিসেবে অর্ন্তভুক্ত হয় বাংলাদেশ। দিবসটিকে স্বরণীয় করে রাখার জন্য নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় যৌথভাবে প্রতিবছর ৩০ নভেম্বর নিউক্লিয়ার ডে উদযাপন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।

রাশিয়ার আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় ঈশ্বরদীর রূপপুরে প্রতিটি ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ ইউনিট বর্তমানে নির্মাণাধীন রয়েছে। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি কর্পোরেশন প্রকল্পের কারিগরি পরামর্শ এবং মূল যন্ত্রপাতি সরবরাহ করছে। প্রকল্পের জেনারেল কন্ট্রাকটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে রসাটমের প্রকৌশল শাখা এটমস্ত্রয়এক্সপোর্ট (এএসই)। আগামী ২০২৩ সালে প্রথম ইউনিট ও পরের বছর দ্বিতীয় ইউনিটের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

সিবি/এডিবি