ন্যাভিগেশন মেনু

বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ আঘাত হানার সম্ভবনা নেই: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী


বঙ্গপোসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’ বাংলাদেশে আগাত হানার কোনো সম্ভবনা এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান।

রবিবার (৮ মে) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী ১২ মে ভারতীয় উপকূল হয়ে বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে। এর প্রভাবে বাংলাদেশে ঝড় বৃষ্টি হতে পারে তবে কোন ধরনের ঘূর্ণিঝড় বা জলোচ্ছ্বাস হবে না।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর পশ্চিম দিকে ধাবিত হচ্ছে। এটি ১২ মে ভারতের উড়িষ্যা, বিশাখাপত্তম, ভূবনেশ্বর ও পশ্চিমবঙ্গ হয়ে দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হবে। বাংলাদেশে আঘাত হানার কোন সম্ভবনা এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। ১২ মে সকালে ভারতে আঘাত হেনে ঘূর্ণিঝড় থেকে নিম্নচাপে পরিণত হবে। এর প্রভাবে বাংলাদেশে ঝড় বৃষ্টি হতে পারে, তবে কোন ধরনের ঘূর্ণিঝড় বা জলোচ্ছ্বাস হবে না। এটাই আমাদের কাছে সর্বশেষ তথ্য।

তিনি বলেন, গত ৪ মে ভারতের আন্দামানে সৃষ্ট ঝড় ‘অশনি’ ধীরে ধীরে লঘুচাপ, সুস্পষ্ট লঘুচাপ, নিম্নচাপ এবং গভীর নিম্নচাপ এই চারটি স্থর পেরিয়ে রোববার (৮মে) ভোর ৬টায় ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তর হয়েছে। এর অবস্থান হলো অক্ষাংশ ১১.২ ডিগ্রি এবং দ্রাঘিমাংশ ৮৯.৪ ডিগ্রি। ঘূর্ণিঝড়টি বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ১১৭৫ কিলোমিটার ও কক্সবাজার থেকে ১২৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড়টির গতি ঘণ্টায় ৫৫ কিলোমিটার।

গতিপথ পরিবর্তন হলে বাংলাদেশের কোন অংশে আঘাত হানতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ সব সময় পরিবর্তন হয়। যে কোন সময় যে কোন দিকে টার্ন নিতে পারে। এটা উত্তর পশ্চিত দিকে ধাবিত হচ্ছে। যদি ঘূর্ণিঝড়টি টার্ন নিয়ে উত্তর দিকে ধাবিত হয় তাহলে এটা আমাদের দেশের সাতক্ষীরা, খুলনা, বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলায় আঘাত হানতে পারে।

ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা গত বৃহস্পতিবার (৫ মে) একটি সভা করেছি। সেখানে আমরা আমাদের মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস, আবহাওয়া অফিস, সিপিপি সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে উপকূলীয় অঞ্চলের জেলাগুলোর প্রশাসকদের ও জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সঙ্গে কথা বলে তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে। সিপিপি এরই মধ্যে মাঠে কাজ করছে।

তিনি বলেন, আমরা সাইক্লোন সেল্টারগুলোকে প্রস্তুতির নির্দেশ দিয়েছি। সেখানে প্রস্তুতি প্রায় শেষ, রান্না করে খাওয়ানোর জন্য চাল ও অর্থ দিয়েছি। মোটামুটি আমাদের প্রস্তুতি আছে। সাইক্লোন সেল্টারগুলোতে স্বাস্থ্য বিধি মেনে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার জন্য নির্দেশ দিয়েছে।