ন্যাভিগেশন মেনু

জাপান জন্মহার বাড়াতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তির সহায়তা নেবে


জাপানে জন্মহার বাড়াতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রযুক্তির পেছনে অর্থ ব্যয় করবে সরকার। লোকজন যাতে তাদের পছন্দের জীবনসঙ্গী খুঁজে বের করতে পারে, সেজন্যে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে কাজে লাগানো হবে।

জাপানে যেসব স্থানীয় সরকার ইতোমধ্যে এরকম প্রকল্প চালাচ্ছে বা শুরু করতে যাচ্ছে, সরকার সামনের বছর থেকে সেগুলোকে সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বাংলা এক প্রতিবেদনে জানায়, গতবছর জাপানে জন্মগ্রহণ করেছে মাত্র ৮ লাখ ৬৫৪ হাজার শিশু। এটি নিম্ন জন্মহারের ক্ষেত্রে এক নতুন রেকর্ড। যেভাবে জন্মহার কমছে তা ঠেকাতেই এ বিশেষ উদ্যেগ। 

বিশ্বে যেসকল দেশে জন্মহার সবচেয়ে কম, জাপান তারমধ্যে একটি। বহু বছর ধরে দেশটিতে জন্ম হার কমতে থাকায়  জাপান এখন মূলত প্রবীণদের দেশে পরিণত হয়েছে।

এই ধারা পাল্টানোর জন্য সরকারের চেষ্টার একটি পদক্ষেপ হলো আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগানো।

২০২১ সালে জাপানের কেন্দ্রীয় সরকার এজন্যে স্থানীয় সরকারগুলোর জন্য দুই বিলিয়ন ইয়েন বা ১ কোটি ৯০ লাখ ডলার বরাদ্দ করেছে।

জাপানে অনেক স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান ম্যাচমেকিং বা ঘটকালি সেবা দিয়ে থাকে। কোন কোন এলাকার কর্তৃপক্ষ এজন্যে এখন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করছে। যারা জীবনসঙ্গী খুঁজছেন, তাদের যে ফর্মটি পূরণ করতে হয়, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দিয়ে সেটি বিশ্লেষণ করে এই কাজ অনেক ভালোভাবে করা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

জাপানের স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, সরকারের এই তহবিল যোগানো হবে আরও উন্নত প্রযুক্তি তৈরির জন্য। যেখানে পাত্র-পাত্রী খোঁজার ক্ষেত্রে কারও সখ এবং মূল্যবোধের মতো বিষয়গুলোকেও বিবেচনায় নেয়া যাবে।

জাপান সরকারের এক মন্ত্রী ফরাসী বার্তা সংস্থা এএফপি'কে বলেন, 'যেসব স্থানীয় কর্তৃপক্ষ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘটকালির সেবা চালু করেছে বা করতে যাচ্ছে, আমরা বিশেষ করে তাদেরকেই সাহায্য দেওয়ার পরিকল্পনা করছি।'

২০১৭ সালে জাপানের জনসংখ্যা যেখানে ছিল ১২ কোটি ৮০ লাখ, সেখান থেকে এই শতকের শেষে তা ৫ কোটি ৩০ লাখে নেমে আসবে বলে আশংকা করা হচ্ছে।

জাপানে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা দিন দিন কমছে। অন্যদিকে, বাড়ছে অবসরে যাওয়া প্রবীণ মানুষের সংখ্যা।

এডিবি/