কক্সবাজারে শিশু হৃদয় মনিকে (৬) অপহরণের পর হত্যার ঘটনায় বিচারিক আদালতের রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামীকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (৭ ডিসেম্বর) আসামীদের আপিল মঞ্জুর এবং ডেথ রেফারেন্স খারিজ করে বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ এবং বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ড থেকে সাজা বাতিল হওয়া তিন আসাম হলেন - আব্দুল খালেক, আব্দুস শুকুর এবং বাহাদুর।
আদালতে আসামী বাহাদুর মিয়ার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুস সালাম মামুন। আব্দুল খালেকের পক্ষে ছিলেন মোহাম্মদ শিশির মনির, মো. আসাদ উদ্দিন ও মোহাম্মদ নোয়াব আলী। শুক্কুর মিয়ার পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী শাহনাজ হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান।
আব্দুল খালেকের আইনজীবী শিশির মনির জানান, আব্দুল খালেক ও শুকুর মিয়া মায়ানমারের নাগরিক। আসামী আব্দুল খালেক ও বাহাদুর মিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ২০১৫ সালের ৭ জুন কক্সবাজারের দায়রা জজ মো. সাদিকুল ইসলাম তালুকদার জসিমকে খালাস দিয়ে বাকি তিন আসামীকে মৃত্যুদণ্ড দেন।
পরে নিয়ম অনুসারে ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। অপরদিকে আসামীরা জেল আপিল ও নিয়মিত আপিল করেন।
আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, প্রসিকিউশনের অসামঞ্জস্যপূর্ণ প্রমাণাদির বিষয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করেছি। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার সময় ম্যাজিস্ট্রেট কক্ষে আসামী আব্দুল খালেক ও বাহাদুর উভয়ই একই সময়ে উপস্থিত ছিলেন। তাই এ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আইনের চোখে কোনো জবানবন্দিই নয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে ৪ জুলাই কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছটার বাসিন্দা নুরুল আলমের ছেলে ও হাজী হাসান আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র হৃদয় মনিকে (৬) অপহরণ করে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। পরদিন সকাল ৭টার সময় হোটেল ওসান প্যারাডাইসের পেছনের সৈকতে হৃদয়ের মরদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় একই বছরের ৬ জুলাই হৃদয়ের বাবা মো. নুরুল আলম বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা করেন।
২০১৪ সালের ২০ এপ্রিল পুলিশ হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আবদুল খালেক, বাহাদুর মিয়া, আবদুস শুক্কুর ও জসিমের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।
এস এ/এডিবি