ন্যাভিগেশন মেনু

বানিজ্যিক খাতায় নাম উঠছে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট–১


বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট–১ উৎক্ষেপণের এক বছর চার মাস পর আয়ের খাতায় নাম লেখাচ্ছে। নিজস্ব স্যাটেলাইট ব্যবহারের ফলে কমে আসবে দেশি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর খরচ।

১ অক্টোবর থেকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর সম্প্রচার শুরু হলো। এরআগে বেশ কয়েক দিন ধরে দর্শকদের জন্য এই তথ্য প্রচার করে যাচ্ছে টিভি চ্যানেলগুলো।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যেমে সম্প্রচারের ফলে বেশ কিছু সমস্যা থাকার কথা বলা হচ্ছে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর পক্ষ থেকে। যে সমস্যাগুলো্ বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিসিএসসিএল) বলছে, পর্যায়ক্রমে এগুলো দূর হয়ে যাবে।

বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে দেশে স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলের সংখ্যা ৩৪। এসব টিভি চ্যানেল এখন হংকংভিত্তিক অ্যাপস্টার সেভেন ও এশিয়াস্যাট স্যাটেলাইট ব্যবহার করছে। বর্তমানে টিভি চ্যানেলগুলো চলে ৫ থেকে ৬ মেগাহার্টজ ফ্রিকোয়েন্সিতে। প্রতি মেগাহার্টজের জন্য মাসে ভাড়া দিতে হয় ৪ হাজার ডলার।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের ক্ষেত্রে সেটি ৪ হাজার ডলার থেকে কমিয়ে ২ হাজার ৮১৭ ডলার নির্ধারিত হয়েছে। দ্বিতীয় বছরে গিয়ে ৩ হাজার ৫০০ ডলার ভাড়া নির্ধারণ করেছে বিসিএসসিএল।

বিদেশি স্যাটেলাইট ব্যবহার করে টিভি চ্যানেলগুলোকে মাসে ১৩ থেকে ২৫ লাখ টাকা ব্যয় করতে হতো। আর বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটকে প্রতি মাসে ভাড়া দিতে হবে ১২ থেকে ১৬ লাখ টাকা।

দেশের প্রথম ন্যানো স্যাটেলাইট ‘অন্বেষা’ ২০১৭ সালের ২ জুন মহাকাশে যায়। অন্বেষা প্রকল্পের প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মো. খলিলুর রহমান জানান, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ও টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর এক অংশ তারযুক্ত এবং আরেক অংশ তারহীনভাবে পরীক্ষামূলক চলছে।

টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর সামনে বড় সমস্যা হচ্ছে, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যেমে সম্প্রচারে গেলে মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশের চ্যানেলগুলো দেখা যাবে না। এ জন্য কোনো কোনো চ্যানেল বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটে গেলেও পাশাপাশি আগের স্যাটেলাইটে যুক্ত থাকছে।

এ ব্যাপারে বিসিএসসিএলের চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ বলেন, কারিগরি জটিলতাগুলো সংশোধন ও সমন্বয়ের কাজ প্রতিনিয়ত চলছে। পরীক্ষামূলক সম্প্রচারের শুরু থেকে এসব ঠিক করা হচ্ছে। বাকি কাজগুলোও ঠিক হয়ে যাবে। নভেম্বর থেকে স্যাটেলাইট ভাড়ার বিল করা হবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অরবিট সুবিধামতো জায়গায় না পাওয়ায় মধ্যপ্রাচ্যে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট–১ এর মাধ্যমে চ্যানেলগুলো দেখা যাবে না। এ প্রসঙ্গে তাঁদের পর্যবেক্ষণ হচ্ছে, চাইলেই অরবিট পাওয়া যায় না। এটা খালি থাকতে হয়। আবার এটা পেতে অন্যরা অপেক্ষায় থাকে। একটি আন্তর্জাতিক কমিটি এটি নির্ধারণ করে।

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসেবে স্যাটেলাইটের অভিজাত ক্লাবে প্রবেশ করে বাংলাদেশ। নিজস্ব স্যাটেলাইটের মালিক হতে বাংলাদেশের ২ হাজার ৯০২ কোটি টাকা খরচ হয়। দেশের প্রথম উপগ্রহ বিএস-১ উৎক্ষেপণ হয় ২০১৮ সালের ১১ মে ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে।

একই ধরণের সংবাদ পেতে এখানে ক্লিক করুন

এমআইআর / এস এস