ন্যাভিগেশন মেনু

বান্দরবানে সবজি উৎপাদন করে ছয় শতাধিক পরিবার স্বাবলম্বী


বান্দরবানে কৃষি বিভাগের সহায়তায় সারাবছর বিভিন্ন ধরনের সবজি উৎপাদন করে ছয় শতাধিক কৃষক পরিবার এখন স্বাবলম্বী।

বিকেল হতেই বান্দরবান-লামা রাস্তার দু'ধারে প্রায় চার কিলোমিটার জুরে প্রস্তুত করে রাখা বিভিন্ন ধরণের সবজির স্তুপ। বান্দরবান সদর উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়নের আমতলী মার্মাপাড়া, আমতলী তঞ্চঙ্গ্যাপাড়া, হেডম্যান পাড়াসহ এলাকার বিভিন্ন জনগোষ্ঠির প্রায় ছয় শতাধিক কৃষক পরিবার রোলিং পদ্ধতিতে শশা, করলা, বরবটি, মিষ্টি কুমড়া, ঝিঙে, চিচিঙ্গা,বেগুনসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি উৎপাদন করেন। এই সবজি ক্ষেতেই বিক্রি করে দেন তারা। পরে এই সবজি ট্রাকে চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়ার জন্য রাস্তার ধারে সারি সারি স্তুপ করে রেখে দেয়।

ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন ট্রাকভর্তি করে এই সবজি চট্রগ্রাম শহরের আড়তসহ বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে যায়।

কৃষক ভুমিলাল তঞ্চঙ্গ্যা (৫০), মংফুহ্লা মার্মা (২৫), বলসোনা তঞ্চঙ্গ্যা(৫৫) বলেন, আমরা উত্তরাধিকার সুত্রে বছরব্যাপী সবজি চাষ করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করি। এলাকায় প্রায় ছয় শতাধিক কৃষক যদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয় তাহলে প্রতিবছরই লাভবান হয়। কারন প্রতি মণ করলা ৯০০ টাকা, শশা প্রথমে এক হাজার ১৮০০ টাকা মণ বিক্রি হয়েছিল বর্তমানে ৫০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। মিষ্টি কুমড়া ৮০০ টাকা, বরবটি এক হাজার টাকা করে ক্ষেত থেকেই ব্যবসায়ীরা কিনে নিচ্ছেন। লকডাউন ও করোনা না হলে এলাকার কৃষকরা আরও লাভবান হতেন।

হাবীবুর রহমান, ফারুক, প্রেমল প্রমূখ ব্যবসায়ীরা বলেন, প্রতিদিন কমপক্ষে দুটি ট্রাক ভর্তি করা হয়।  প্রতি ট্রাকে ১৫০ থেকে ১৬০ মণ সবজি বহন করে চট্টগ্রাম শহরে নেওয়া হয়। তেমন কোনও সমস্যা নেই। এলাকার কৃষক এবং ব্যবসায়ী উভয়েই  লাভবান হচ্ছেন।

কৃষি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা লিটন কুমার দাশ বলেন, গত বছর সুয়ালক ইউনিয়নের এলাকায় মিষ্টি কুমড়া, শশা, বরবটি, পালংশাক, ডাটাশাক, শিমসহ ১১ প্রকার সবজির বীজ ও রক্ষনাবেক্ষণের জন্য নগদ এক হাজার ৯৫০ টাকা দিয়ে ৩০ কৃষক পরিবারের মধ্যে পুষ্টি বাগান করে দেওয়া হয়েছে। এ বছর বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এলাকার একশ' পরিবারের মধ্য পুষ্টি বাগান করে দেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, কৃষকদেরকে জৈব সারের হরমোন বক্স তৈরি করে ক্ষতিকর পোকামাকড় থেকে সবজি ক্ষেত রক্ষা করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এলাকায় প্রায় একশ হেক্টর আবাদী জমিতে বছরব্যাপী বিভিন্ন সবজি চাষ করা হয়। বান্দরবান পার্বত্য জেলা ও উপজেলা কৃষি অফিস হতে এলাকার কৃষকদেরকে সার্বিক সহযোগিতা ও পরামর্শ দেওয়া হয়। 

এসসি/এডিবি/