ন্যাভিগেশন মেনু

জয়া গেলেন কলকাতায় ৯ মাস বাদে, গিয়েই কাজে


কলকাতায় চলচ্চিত্র অঙ্গনে জয়া আহসান তার আসনটি বেশ পাকা করে নিয়েছেন। করোনার কারণে ৯ মাস তিনি কলকাতায় ছিলেন না। চলে এসেছিলেন নিজ বাসভূম ঢাকায়। আর সবাই যেমনটি করেছেন।

কিন্তু কী কাকতালীয় ব্যাপার? আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে আমরা নয় মাস ছিলাম কলকাতাসহ ভারতে। ১৯৭১ সালের মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর অবধি বাঙালির প্রিয় স্থান কলকাতায় ছিলাম আমরা।

১৬ ডিসেম্বরেই দখলদার পাকিস্তানিদের শেষ সৈন্যটিকে আত্মসমর্পনে বাধ্য করে আমরা বিজয় ছিনিয়ে নিয়ে দেশে ফিরেছিলাম। আর এবার বিজয় দিবসেই ঢাকা থেকে কলকাতায়  আকাশযানে চেপে চলে গেলেন জয়া। ঠিকঠাক মতো পৌঁছালেন যোধপুর পার্কের ফ্ল্যাটে।

জয়া সুযোগ পেলেই বলেন, ‘ঢাকা হলো আমার শেকড়। আর কলকাতা হলো ডাল-পালা মেলার জন্য মুক্ত আকাশ। আবার অন্নমসংস্থানও।

কাঙ্ক্ষিত কলকাতার মুক্ত আকাশে ফিরে যেতে জয়াকে অপেক্ষা করতে হয়েছে দীর্ঘ ৯ মাস। তাই নয়, গেল ৭ বছরে এতটা সময় একটানা কলকাতা থেকে দূরে থাকতে হয়নি এই পাকা  অভিনেত্রীকে।

বুধবার কলকাতা নেমেই জয়া আহসান বৃহস্পতিবার নেমে পড়েছেন শুটিং মাঠে। বাওয়ালি রাজবাড়িতে একটি বিজ্ঞাপনের কাজে ব্যস্ত হয়েছেন এই অভিনেত্রী।

ঢাকা থাকতেই জয়া জানালেন কলকাতা ফেরার পর এবারের কর্মপরিকল্পনার কথা। লকডাউনে বসেই জয়াকে নিয়ে নতুন ছবি নির্মাণের ঘোষণা দিলেন টলিউডের ‘সোয়েটার’ ও ‘হৃদপিণ্ড’-খ্যাত শিলাদিত্য মৌলিক।

 ‘ছেলেধরা’ নামের এই ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রে দেখা যাবে জয়া আহসানকে। ছবিটিতে নিজের চরিত্র ও গল্পের প্রেক্ষাপট প্রসঙ্গে জয়া বলেছিলেন, ‘ছিনতাই হয়ে যাওয়া বাচ্চাকে উদ্ধারের জন্য একজন মায়ের সংগ্রাম দেখা যাবে এখানে। সন্তানকে উদ্ধার করতে গিয়ে নতুন করে নিজেকে আবিষ্কার করেন মা। আমার চরিত্রটি এমনই।’

অবশ্য জয়া আহসান করোনাকালের মধ্যে অনেকটা চুপিচুপি ঢাকায় দুটি ছবির কাজ শেষ করে চমকে দিয়েছেন । এর একটি পিপলু আর খানের পরিচালনায় নাম ঠিক না হওয়া একটি চলচ্চিত্র। যেটির প্রযোজক হিসেবেও রয়েছেন জয়া।

অন্য সিনেমাটি হলো কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের উপন্যাস ‘বিধবাদের কথা’ অবলম্বনে আকরাম খানের ‘নকশিকাঁথার জমিন’। এ ছবির শুটিং শেষ হয়েছে গত ৯ নভেম্বর। এখানে জয়াকে দেখা যাবে বিধবার চরিত্রে।

এস এস