ন্যাভিগেশন মেনু

বিহারে জোট গড়ল বিজেপি-নীতীশ কুমার


বিরোধী শিবির গতকালই সরকারিভাবে মহাজোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিয়েছে। আসন সমঝোতাও চূড়ান্ত হয়েছে। মুকেশ সাহানির ভিআইপি পার্টি সেই রফাতে সন্তুষ্ট না হলেও কংগ্রেস, এবং বামেদের সন্তোষজনক আসন দিয়ে জোট সমীকরণ মসৃণ করতে সক্ষম হয়েছে আরজেডি (RJD)।

সে তুলনায় অনেকটা পিছিয়ে শাসক শিবির। শনিবার প্রথম পর্বের নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন দাখিলের প্রক্রিয়া শুরু হলেও এখনও নিজেদের কোন্দল মিটিয়ে উঠতে পারেনি এনডিএ (NDA) শিবিরের তিন সঙ্গী বিজেপি (BJP), জেডিইউ (JDU) এবং এলজেপি (LJP)।

আসলে, এনডিএ শিবিরের যাবতীয় সমস্যা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামবিলাশ পাসওয়ানের ছেলে চিরাগ পাসওয়ানকে (Chirag Paswan) নিয়ে। নীতীশ কুমারের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক আদায়-কাঁচকলায়।

তাই নীতীশের দল জেডিইউকে বেশি আসন ছাড়তে নারাজ তিনি। চিরাগ চাইছেন, বিজেপি এবং তাঁর দল এলজেপি জোট করে সিংহভাগ আসনে লড়ুক।

কিন্তু সেটা যে বাস্তবসম্মত নয়, তা বুঝতে পেরেছে গেরুয়া শিবির। তাই চিরাগকে বাদ দিয়েই জেডিইউয়ের সঙ্গে আসনরফা চূড়ান্ত করে ফেলেছে তাঁরা। ঠিক হয়েছে, এনডিএর দুই বড় জোটসঙ্গী লড়বে ৫০:৫০ ফর্মুলায়।

২৪৩ আসনের মধ্যে নীতীশ কুমারের জেডিইউ লড়বে ১২২ আসনে, বিজেপি লড়বে ১২১ আসনে। আজই বিজেপির তরফে এই আসন সমঝোতার কথা ঘোষণা করা হতে পারে।

এখন প্রশ্ন হল, এনডিএ’র অপর দুই সঙ্গী এলজেপি এবং জিতনরাম মাঝির হিন্দুস্তান আওয়াম মোর্চার কী হবে? প্রাথমিক রফা অনুযায়ী হিন্দুস্তান আওয়াম মোর্চাকে নিজেদের কোটা থেকে পাঁচটি আসন ছাড়বে জেডিইউ।

আর চিরাগ পাসওয়ানের এলজেপির জন্য নিজেদের কোটা থেকে আসন ছাড়বে বিজেপি। তবে, তার থেকেও বড় প্রশ্ন চিরাগ আদৌ জোটে থাকবেন কিনা।

গত সপ্তাহেই তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, ৪২-এর কম আসন পেলে তাঁর দল একাই লড়বে। এদিকে বিজেপি মেরেকেটে ১৫টি আসন ছাড়তে রাজি। শেষপর্যন্ত যদি সম্মানজনক রফা না হয় তাহলে একাই লড়তে পারে এলজেপি। আবার আরও একটা সম্ভাবনা আছে। বিজেপির থেকে যে কটা আসন চিরাগ পাচ্ছেন, তা তিনি মেনে নিতেও পারেন।

কিন্তু সেক্ষেত্রে আবার নীতীশ কুমারের দলের বিরুদ্ধে প্রার্থী দিতে পারেন তিনি। সবটাই আজ সন্ধের মধ্যে পরিষ্কার হয়ে যেতে পারে।

এস এস