ন্যাভিগেশন মেনু

বি‌শ্বে প্রথম ম্যা‌লে‌রিয়া টিকার অনু‌মোদন দিলো ডব্লিউএইচও


বিশ্বে প্রথমবারের মতো মশাবাহিত প্রাণঘাতী রোগ ম্যালেরিয়ার টিকা আবিষ্কারে সক্ষম হয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

বুধবার (৬ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যের ওষুধপ্রস্তুতকারক কোম্পানি গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন (জিএসকে) আবিষ্কৃত এই টিকার অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

ম্যালেরিয়ার কারণে প্রতি বছর পাঁচ লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। যার মধ্যে প্রায় অর্ধেকই আফ্রিকার শিশু। ঘানা, কেনিয়া ও মালাবিতে ২০১৯ সাল থেকে পরিচালিত একটি পাইলট কর্মসূচির ফলাফলের ভিত্তিতে ডব্লিউএইচও এই অনুমোদন দিয়েছেন।

ম্যালেরিয়ার এ টিকা ১৯৮৭ সালে তৈরি করেছিল জিএসকে। পরে দীর্ঘ সময় ক্লিনিকাল ট্রায়ালের মধ্য দিয়ে গেছে। চার বছরের বেশি সময় ধরে আফ্রিকার ছোট বাচ্চাদের ওপর চলা পরীক্ষায় এর সীমিত কার্যকারিতা পাওয়া গেছে। সাধারণ ম্যালেরিয়ার ক্ষেত্রে এটা ৩৯ শতাংশ কার্যকর আর গুরুতর ম্যালেরিয়ার ক্ষেত্রে এর কার্যকারিতার হার মাত্র ২৯ শতাংশ।

কিন্তু, গত আগস্টে লন্ডন স্কুল অফ হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিনের (এলএসএইটটিএম) নেতৃত্বে একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যখন ছোট বাচ্চাদের আরটিএস,এস ও অ্যান্টিম্যালেরিয়াল ওষুধ দেওয়া হয় তখন এটি হাসপাতালে ভর্তি বা মৃত্যুর হার ৭০ শতাংশ কমিয়ে দিতে সক্ষম।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস বলেছেন, আফ্রিকার ওই তিন দেশে পাইলট কর্মসূচির অংশ হিসেবে টিকা প্রয়োগের পর প্রাপ্ত ফলাফল বিশ্লেষণ করে তার সংস্থা বিশ্বের প্রথম ম্যালেরিয়া টিকা ব্যাপক পরিসরে প্রয়োগের সুপারিশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এখন থেকে আফ্রিকার সাব–সাহারা অঞ্চল এবং ম্যালেরিয়ার উচ্চ প্রাদুর্ভাব রয়েছে, বিশ্বের এমন সব অঞ্চলে শিশুদের টিকাটি প্রয়োগ করা যাবে। চার ডোজের এই টিকা দুই বছর বয়স থেকেই দেওয়া যাবে।