ন্যাভিগেশন মেনু

বৃষ্টি থামতেই রাজধানীতে পুজোমণ্ডপে ভক্তদের ধূম ঢল


গত দু’দিন প্রাকৃতিক দুর্যোগ কাটিয়ে আজ দুর্গাপুজোর মহাষ্টমীতে সকালে ঝলমলে রোদ ওঠায় ঢাকার পুজোমণ্ডপে ভক্তদের ধূম ঢল নামে।

তবে করোনার কারণে ঢাকাসহ দেশের রামকৃষ্ণ মিশনসমূহে কোন কুমারী পুজো হয়নি।এ বছর কুমারীপুজো ছাড়াই মহাঅষ্টমী পুজো হয়েছে। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ভক্তদের অধিকাংশই আবার বাসায় বসেই অঞ্জলি দিয়েছেন। 

তবে করোনা পরিস্থিতি ও বৃষ্টির কারণে আগের দু’দিনের তুলনায় অষ্টমী পুজোয় ধর্ম-বর্ণ মানুষের ভিড় ছিল চোখে দেখার মতো।আগামীকাল রবিবার রীতি অনুযায়ী মহানবমী পূজা হবে। মহাঅষ্টমীর ঐতিহ্য কুমারী পুজোর আয়োজন না থাকায় এবার রাজধানীর রামকৃষ্ণ মন্দিরে সকালে দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা যায়নি। 

মহাঅষ্টমীর দিন আজ শনিবার সকালে ষোড়শ উপাচারে অনুষ্ঠিত হয় দেবীর পুজো। ১০৮ পদ্ম এবং প্রদীপ দিয়ে দেবী দুর্গার আরাধনা করা হয়। সকাল ৫টা ১৬ মিনিটের মধ্যে দুর্গাদেবীর মহাষ্টম্যাদি বিহিত পুজো ও মহাঅষ্টমীর ব্রতোবাস শুরু হয়। এরপর সকাল ৬টা ৩৫ মিনিট থেকে ৭টা ২৩ মিনিটের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় সন্ধিপূজা। পুজোর আনুষ্ঠানিকতার পর ভক্তরা অঞ্জলি দেন। তবে বাসায় থেকে অঞ্জলি দেওয়ার জন্য বিভিন্ন টেলিভিশনে ও ফেসবুকে সরাসরি অঞ্জলি প্রদান অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হয়।

করোনার সংক্রমণ ও বৃষ্টির কারণে পুজো অর্চনাকারীদের জন্য এবার পরিবেশটা বেশ প্রতিকূল। তারপরও থেমে নেই মা দুর্গার ভক্তরা। অন্যান্যবারের মতো উৎসবে ভাটা দেখা গেলেও বৃষ্টি উপেক্ষা করে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে অঞ্জলি দিতে পুজোমণ্ডপে এসেছেন অনেকে।

গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মধ্যেও রাজধানী ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দিরে অনেক ভক্ত অঞ্জলি দেন। তবে ভক্তদের ভিড় করতে দেখা যায়নি। ভিড় না করতে  পুজো উদযাপন কমিটির পক্ষ থেকেও নজরদারি রাখা হয়েছে। 

একই চিত্র দেখা গেছে, জয়কালী মন্দির, বরদেশ্বরী কালিমাতা মন্দির, রমনা কালীমন্দির, শ্যামবাজার শিবমন্দির, খামার বাড়ি মন্দির ও স্বামীবাগ ইসকন মন্দিরসহ নগরীর অন্যান্য মণ্ডপগুলোতে। 

তবে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে ভিড় ছিল বেশি। সন্ধ্যার পর এই ভিড় কমতে শুরু করে।কেননা রাত ৯টার মধ্যে কোন ভক্ত মণ্ডপে থাকতে পারবেন না। রবিবার মহানবমীর দিনে ভিড় আরো বাড়বে বলে আয়োজকরা জানান।

ঢাকা মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শৈলেন্দ্রনাথ মজুমদার জানান, করোনা সতর্কতা ও বৃষ্টির কারণে অনেকেই মণ্ডপে  আসেননি। তবে নবমীর দিনে তারা আসবেন। এ কারণে মণ্ডপগুলোতে ভিড় কিছু বাড়বে। সেটা বিবেচনায় রেখে ভক্ত-দর্শনার্থীদের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।করোনা মহামারীর কারণে করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে এ বছর বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। 

উৎসব সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো পরিহার করে সাত্ত্বিক পূজায় সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে। সন্ধ্যায় আরতির পরই বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে পুজো মণ্ডপ। থাকছে না সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ধুনুচি নাচের প্রতিযোগিতা। স্বাস্থ্যবিধির দিকে খেয়াল রেখে পুজোয় প্রসাদ বিতরণ ও বিজয়া দশমীর শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আগামী সোমবার সকালে দর্পণ বিসর্জনের পর প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হবে পাঁচ দিনের দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা।

এস এস