ন্যাভিগেশন মেনু

বৃহস্পতিবার থেকে টানা বৃষ্টির আভাস


সারাদেশে জেঁকে বসেছে শীত। বিশেষকরে উত্তরাঞ্চলের সবগুলো জেলায় জাঁকিয়ে শীত নেমেছে। তেজহীন সূর্যের আলোয় তাপমাত্রা সেভাবে বাড়ছে না। উত্তরাঞ্চলে দুপুরের পর বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে শীতের প্রভাব। সেই সাথে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে টানা তিন-চার দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে প্রায় সর্বত্রই আগামী বৃহস্পতিবার থেকে টানা তিন-চার দিন বৃষ্টি হবে। তারপর শুরু হবে দ্বিতীয় শৈত্যপ্রবাহ। অতপর ক্রমশ বাড়তে থাকবে তাপমাত্রা। ফের পশ্চিমী ঝঞ্ঝা আসলে তবে পারদ কিছুটা ঊর্ধমুখী হতে পারে। জানুয়ারিতে সারাদেশে তাপমাত্রা আরো কমে আসতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ৭২ ঘণ্টায় রাতের তাপমাত্রা আরো হ্রাস পাবে। সোমবার দিনের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়বে এবং রাতের তাপমাত্রা কমবে। এসময় সারাদেশে আবহাওয়া থাকবে প্রধানত শুষ্ক।

আবহাওয়ার দৃশ্যপটের সংক্ষিপ্তসারে বলা হয়, মওসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে এবং এর বর্ধিতাংশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, হিমালয়ের খুব কাছাকাছি হওয়ায় জেলার সর্বউত্তরের উপজেলা তেঁতুলিয়ায় অনুভূত হচ্ছে হাড় কাঁপানো শীত। রবিবার সকালে উত্তরাঞ্চলে দেশের সর্বশেষ জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। চলতি বছরে এখন পর্যন্ত এটিই দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড।

এছাড়া, মৌলভীবাজারে তীব্র শীতে দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ। প্রতিদিনই কমছে এ জেলার তাপমাত্রা। শীতের কারণে নষ্ট হচ্ছে সবজি ক্ষেত। কনকনে হাড় কাঁপানো শীতের কামড়ে এলাকার নিম্ন আয়ের মানুষেরা খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাচ্ছে। ঘন কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহের কারণে ঘর থেকে বের হচ্ছে না অনেকেই।

এমআইআর / এস এস