ন্যাভিগেশন মেনু

বেনাপোল-যশোর মহাসড়কের মরা গাছ চিহ্নিত


বেনাপোল-যশোর মহাসড়কের পাশে প্রাচীন মৃত গাছ চিহ্নিত করছে জেলা পরিষদ।

বনবিভাগকে সাথে নিয়ে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে জানান যশোর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল।

জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুল বলেন, ওই সড়কের পাশের বাসিন্দাদের দেয়া আবেদনের কথা সঠিক। স্থানীয়দের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

তিনি বলেন, সড়কের পাশের বাসিন্দাদের আবেদনের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে আমরা ইতিমধ্যে বনবিভাগের লোকজনের মাধ্যমে মৃত গাছগুলো চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি। এসব গাছ চিহ্নিত করার পর টেন্ডারের মাধ্যমে পরবর্তীতে অপসারণ করা হবে।

এদিকে দিন যত যাচ্ছে ততোই এই মহাসড়কের ঝুঁকিপূর্ণ গাছ নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে চরম আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে সড়কের তিন জায়গায় শতবর্ষী তিনটি গাছ উপড়ে পড়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় সড়কের ঝিকরগাছার অংশে হাজের আলী বাজারের কাছে একটি প্রাচীন রেইনট্রি উপড়ে পড়ে আছে।

স্থানীয়রা জানান, আধামরা এ গাছটি গত দেড় সপ্তাহ আগে ভেঙে সড়কের পাশে পড়ে। এসময় স্থানীয় লোকজনের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

সড়কের পাশের কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, গাছটির মাটির নিচের শিকড় অক্ষত থাকলেও গোড়ার দিক থেকে পচে যাওয়ায় ভেঙে পড়ে। এসময় কোনো ঝড় বা বৃষ্টি না হলেও বিকট শব্দ করে গাছটি মাটিতে নূয়ে পড়ে।

সাহেব আলী নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, গত দেড় মাসে এই সড়কের তিনটি স্পটে এভাবে গাছ উপড়ে পড়েছে।

এরমধ্যে গত মাসে নাভারন কলোনী বাজার, পায়রা বাজারের পুরন্দপুরে ও চলতি মাসে হাজের আলী বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

তিনি বলেন, এ সড়কে এরকম অন্তত একশ’ গাছ রয়েছে যা যেকোনো সময়ে ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

রমজান আলী নামে আরেকজন পথচারী বলেন, সড়কের দুই ধারের বিভিন্ন জায়গায় গাছ মরে শুকিয়ে গেছে। এসব গাছ যখন তখন ভেঙে পড়ে হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে।

তিনি বলেন, সড়কের আশপাশের বিভিন্ন বাজার সংলগ্ন অনেকগুলো গাছের গোড়া ও ডাল শুকিয়ে গেছে। এ ধরনের গাছগুলোই এখন মানুষের জন্য আতঙ্ক হয়ে দেখা দিয়েছে। এসব মৃতপ্রায় গাছ দ্রুত অপসারণের দাবি জানান তিনি।

এদিকে সড়কের পাশের বাসিন্দারা ইতোমধ্যে এসব মৃতপ্রায় ঝুঁকিপূর্ণ গাছ অপসারণের জন্য যশোর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করেছেন।

লিখিত আবেদনে তাঁরা বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটার আগেই এসব গাছ কেটে ফেলার জন্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এছাড়া ঝড় নেই, নেই বৃষ্টিপাত তারপরও রক্ষা করা যাচ্ছে না বেনাপোল-যশোর মহাসড়কের ঝুঁকিপূর্ন শতবর্ষী গাছগুলো।

মহাসড়কটি সংস্কারের মধ্যেই সড়কের পাশের এসব প্রাচীন গাছগুলো আচমকা উপড়ে পড়ছে। ব্যস্ত এ মহাসড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে শত শত যানবাহন।

এস এ / এস এস

আপডেট নিউজ পেতে ভিজিট করুন - Ajker Bangladeshpost