ন্যাভিগেশন মেনু

ব্যতিক্রমী ঈদ উদযাপিত হচ্ছে, নেই দাওয়াত রক্ষা ও ঘোরাঘুরি


মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। সংখ্যাগুরু বাংলাদেশে এ এক ব্যতিক্রমী ঈদ উদযাপিত হচ্ছে। যা আগে কখনো দেখা যায়নি বা চিন্তাও করা যায়নি। 

এমনকি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মানুষ অকাতরে পাকিস্তানি সেনা গুলিতে প্রাণ দিয়েছেন, তারপরও দেশ স্বাধীন হবে এই স্বপ্নে ঈদ উদযাপন করেছেন। ঈদুল ফিতর তো ৭১-এর নভেম্বর মাসের শেষের দিকে এক কোটি শরনার্থী ও মুক্তিযোদ্ধারা ঘটা করে পালন করেছেন। 

এবাবের করোনাকালে ব্যতিক্রমী ঈদ পালিত হচ্ছে। নেই আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধুবান্ধবের বাড়ি গিয়ে জমপেশ আড্ডার পাশাপাশি খানাপিনা ও ঘোরাঘুরি-কোলাকুলি। প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ করার জন্য গ্রামের বাড়ি ফেরার জন্য দৌড়াদৌড়ি থাকে। 

ঈদের আগে আগে তাই বাস, লঞ্চ ও ট্রেনে ঠাঁই হয় না মানুষের। শহর ছেড়ে নাড়ির টানে গ্রামে ফেরে লাখ লাখ মানুষ। খোলা মাঠের ঈদগাহে গিয়ে নামাজ আদায় করে কোলাকুলি করে একে অপরের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করে। কিন্ত এবারের ঈদ পালিত হচ্ছে একেবারেই ভিন্ন আঙ্গিকে ভিন্ন প্রেক্ষাপটে। 

করোনার তীব্র হানার মধ্যেই আমফানের তাণ্ডবলীলা দেশের সিংহভাগ কৃষককে নিঃস্ব করে দিয়েছে।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ঈদ শুভেচ্ছা: ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসী ও বিশ্বের সকল মুসলমানদের শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

পাশাপাশি করোনাভাইরাসের এই মহামারিতে গণজমায়েত এড়িয়ে ঘরে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদের আনন্দ উপভোগ করার আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, ঈদুল ফিতর মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। 

মাসব্যাপী সিয়াম সাধনা ও সংযম পালনের পর অপার খুশি আর আনন্দের বারতা নিয়ে আমাদের মাঝে সমাগত হয় পবিত্র ঈদুল ফিতর। 

এদিকে, বাণীতে দেশবাসী ও বিশ্বের সকল মুসলমানদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বাংলাদেশ ও মুসলিম উম্মাহর উত্তরোত্তর উন্নতি, সমৃদ্ধি ও অব্যাহত শান্তি কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

তিনি বলেন, ‘ঈদ শান্তি সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্ববোধের অনুপম শিক্ষা দেয়। হিংসা ও হানাহানি ভুলে মানুষ সাম্য, মৈত্রী ও সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হয়। গত বছরের পরিসংখ্যাণে দেখা গেছে, ইদের অর্থনৈতিক লেনদেন দেড় লাখ কোটি টাকা। 

আমাদের মতো নিম্নমাধ্যম আয়ের দেশে একটা উৎসবকে কেন্দ্র করে এত টাকার লেনদেন ভাবা যায়! করোনায় দীর্ঘমেয়াদি লকডাউনে মানুষ শুধু কর্মহীনই হয়নি, হয়েছে উপার্জনহীন, সর্বোপরি স্বপ্নহীন। 

সমাজের মধ্যবিত্ত শ্রেণি যারা সম্মান, অধিকার ও কর্তব্যসচেতন তারা এখন জীবন-জীবিকা নিয়ে ঘোর অমানিশায় পতিত।লাগাতার তিন মাস আয়বিহীন থাকায় মধ্যবিত্তের মানইজ্জত তো গেছেই, এখন আবরু রক্ষা করা কঠিন। এমন দুমনা সময়ে ঈদ দিতে পারছে না মানুষের মাঝে আনন্দের বার্তা।

দেশের সব মানুষের জন্য এমন নিরানন্দের ঈদ আগে আসেনি।বাঙালি মুসলমানের শুধু ঈদ নয়, রমজান মাস এলেই বাড়তি খরচের হাত প্রশস্ত হয়। মানুষ সামর্থ্যরে বাইরে গিয়েও খরচ করে আনন্দ নিয়ে। 

দেশের উচ্চবিত্তের প্রায় এক লাখ পরিবার ঈদকে উপলক্ষ করে ভারত, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে কেনাকাটার জন্য পাড়ি জমায়। 

এস এস