ন্যাভিগেশন মেনু

ব্যাংকের অর্থ আত্মসাত মামলায় সাহেদ ৭ দিনের রিমান্ডে


পদ্মা ব্যাংকের (সাবেক দি ফারমার্স ব্যাংক) অর্থ আত্মসাতের মামলায় রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

সোমবার (১০ আগস্ট) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে গত ২৩ জুলাই ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান করপোরেট শাখার এক কোটি টাকা যা সুদাসলসহ মিলিয়ে স্থিতি ২ কোটি ৭১ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার অফিযোগে মো. সাহেদসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলাটিতে অপর আসামিরা হলেন- ব্যাংকটির অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতি ও তার ছেলে ফয়সাল চিশতি ও রিজেন্ট হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ইব্রাহিম খলিল।

করোনা পরীক্ষায় প্রতারণার মামলায় গ্রেফতার হওয়া সাহেদকে এই মামলায় গ্রেফতার দেখাতে গত ২৮ জুলাই আবেদন করেন মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ। আদালত ৫ আগস্ট তার গ্রেফতার দেখানোর বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন। কিন্তু সাহেদ অন্য মামলায় রিমান্ডে থাকায় এদিন গ্রেফতার দেখানোর আবেদনের শুনানি হয়নি।

পরে ৬ আগস্ট একই আদালতে সাহেদকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান মিরাজ। বিচারক রিমান্ড শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন।

দুদকের মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ করে অর্থ স্থানান্তর, রূপান্তরের মাধ্যমে ঋণের নামে ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান করপোরেট শাখার এক কোটি টাকা যা সুদাসলসহ মিলিয়ে স্থিতি ২ কোটি ৭১ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন।

আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।

মামলায় অপরাধ সংঘটের সময়কাল হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি থেকে ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত। এর আগে গত ২১ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদসহ চারজনের বিরুদ্ধে এনআরবি ব্যাংক থেকে দেড় কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করে দুদক।

ওআ/