ন্যাভিগেশন মেনু

ভারতে চালু হোয়াটসঅ্যাপ পে


প্রযুক্তির উন্নতি আর করোনার দাপটের জেরে ডিজিটাল লেনদেনের দিকেই ঝুঁকছে সাধারণ মানুষ। অন্যান্য উন্নত দেশের মতো ভারতেও একলাফে অনেকটাই বেড়েছে ই-ওয়ালেটের ব্যবহার। 

টাকা লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্যাংকিং অ্যাপগুলি ব্যবহারেও স্বচ্ছন্দ হয়ে উঠছেন গ্রাহকরা। আর সে কথা মাথায় রেখেই হোয়াটসঅ্যাপকেও (WhatsApp) ই-ওয়ালেটের ভূমিকায় আনার সিদ্ধান্ত নেয় ফেসবুক। অবশেষে মিলল তার সবুজ সংকেত। 

কিন্তু অনেকেরই কৌতূহল, এই মাধ্যমে অন্যকে টাকা পাঠাতে গেলে কি অতিরিক্ত অর্থ খরচ করতে হবে? মানে এক অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য অ্যাকাউন্টে টাকা যাওয়ার জন্য অতিরিক্ত চার্জ দিতে হবে? এবার সরাসরি ইউজারদের কৌতূহল মেটালেন ফেসবুক সিইও মার্ক জুকারবার্গ।

অর্থ লেনদেনের ক্ষেত্রে ন্যাশনাল পেমেন্ট কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার (NPCI) তরফে হোয়াটসঅ্যাপ সবুজ সংকেত পাওয়ার পরই বৃহস্পতিবার জুকারবার্গ ইউজারদের প্রশ্নের উত্তর দেন। 

তিনি জানান, এই মেসেজিং অ্যাপের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে কোনও অতিরিক্ত অর্থ লাগবে না। তিনি এও জানান, ইউজারদের সুবিধার্থে ১৪০টিরও বেশি ব্যাংকের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে হোয়াটসঅ্যাপ। 

জুকারবার্গের কথায়, “হোয়াটসঅ্যাপ ঠিক যত সহজে একটি মেসেজ অন্যকে পাঠিয়ে দেন, ঠিক সেভাবেই এখন থেকে বন্ধু কিংবা পরিবারকে টাকা পাঠিয়ে দিতে পারবেন। তার জন্য কোনও টাকা খরচ করতে হবে না। 

১৪০টি ব্যাংককে হোয়াটসঅ্যাপ নিজের পাশে পেয়েছে। আর এই প্ল্যাটফর্মকে আপনারা অনেকখানি বিশ্বাস করেন। তাই ব্যক্তিগত জন্য যে সুরক্ষিত থাকবে, সে বিষয়ে নিশ্চিত থাকতে পারেন।

এবার জানা জরুরি, টাকা পাঠাতে গেলে আপনার কী কী লাগবে? ফেসবুক সিইও   জানাচ্ছেন, যে কোনও ব্যাংকের একটি ডেবিট কার্ড হলেই চলবে। যা UPI (Unified Payments Interface) সাপোর্ট করে। আর নয়া ফিচারটি পেতে হলে হোয়াটসঅ্যাপটি আপডেট করে নিন। ভারতীয় ইউজাররা মোট দশটি ভাষায় টাকা লেনদেনের সুযোগ পাবেন।  

ভারতে  লাফিয়ে বাড়ছে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর সংখ্যা। একইরকমভাবে ঊর্ধ্বমুখী ডিজিটাল লেনদেনের প্রবণতা। 

আর ঠিক এই কারণেই নিজেদের নয়া ফিচারটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ভারতকে প্রথম দেশ হিসেবে বেছে নিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। তবে আপাতত ২০ মিলিয়ন ইউজারই এই সুবিধা পাবেন। জুকারবার্গ জানান, আগামিদিনে পেমেন্ট পদ্ধতি আরও সহজ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

এস এস