ন্যাভিগেশন মেনু

ভারতে পুলিশের অভিযানে ১৫ মাওবাদী নিহত


ভারতের মহারাষ্ট্রের নাগপুরের বিদর্ভে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ১৫ মাওবাদী নিহত হয়েছে।

শুক্রবার (২১ মে) ভোরে গড়চিরৌলির এটাপল্লি জঙ্গলে মাওবাদীরা জড়ো হওয়ার খবর পেয়ে অভিযান চালায় মহারাষ্ট্র পুলিশের সি-৬০ ইউনিটের জওয়ানরা।

পুলিশ সূত্রে খবর, এটাপল্লির জঙ্গলে ঢুকতেই জওয়ানদের লক্ষ্যে করে গুলি চালাতে শুরু করে মাওবাদীরা। পাল্টা জবাব দেয় পুলিশও। দু’পক্ষের মধ্যে বেশ কিছু ক্ষণ গুলির লড়াই চলে। এ সময় কয়েকজন মাওবাদী পালানোর চেষ্টা করলেও পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় তাদের।

ইন্ডিয়া টাইমস সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত ১৫ জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে।

মহারাষ্ট্র পুলিশের এক কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে জানান, একদিন আগেই তারা সংশ্লিষ্ট জঙ্গলে মাওবাদীদের উপস্থিতির খবর পান। পরে শুক্রবার ভোরে তারা অভিযান চালান পায়দী-কোটমি জঙ্গলে। এই অভিযান মহারাষ্ট্র পুলিশের কাছে অন্যতম বড় সাফল্য। সংশ্লিষ্ট জঙ্গলে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। 

গড়চিরৌলি পুলিশের ডিআইজি সন্দীপ পাটিল জানিয়েছেন, ১৫ মাওবাদীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মাওবাদীদের খোঁজে জোর কদমে তল্লাশি চলছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, তেন্দু পাতার দরদাম নিয়ে স্থানীয় ঠিকাদার ও গ্রামবাসীদের মধ্যে একটি বৈঠক করার কথা ছিল মাওবাদীদের। সেই খবর পুলিশের কাছে চলে যায়।

মূলত মজুরিসহ অন্যান্য ব্যাপারে মিটিংটি ছিল বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। এই সময় থেকে তেন্দুপাতা তোলার সময়। তেলেঙ্গানা-সহ পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে ইজারাদাররা এই সময় গড়চিরৌলিতে আসেন। তাদের নিয়েই মাওবাদীদের মিটিং করার কথা ছিল। প্রতিবছর এই ইজারাদারদের প্রচুর প্রটেকশাল মানি দিতে হয় মাওবাদীদের।

পুলিশ সুপার অঙ্কিত গোয়েল জানিয়েছেন, 'মৃত নকশালদের মধ্যে স্কোয়াড কমান্ডারও রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তার নেতৃত্বেই মিটিং করার কথা ছিল।' 

এর আগে গত ২৯ মার্চ গড়চিরৌলিতেই মাওবাদীদের সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষীদের সংঘর্ষে ২ মহিলাসহ ৫ মাওবাদী নিহত হয়। সেই সময় তল্লাশিতে পরিত্যক্ত মাও ডেরা থেকে উদ্ধার হয় তিনটি প্রেশার কুকার বোমা, গুলি, ম্যাগাজিন,বেশ কিছু নথি এবং বই।

এডিবি/