ভিয়েনা প্রতিনিধি
ভিয়েনায় বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থায়ী মিশনের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদার মধ্য দিয়ে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯০তম জন্মবার্ষিকী পালন করা হয়। এ উপলক্ষ্যে দূতাবাস প্রাঙ্গণে এক বিশেষ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
রবিবার ( ৯ আগস্ট) বিকেল পাঁচটা দূতাবাস প্রাঙ্গণে দূতাবাসের প্রথম সচিব ও দূতালয় প্রধান মোঃ তারাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়। অনুষ্ঠানে বঙ্গমাতার সংগ্রামী জীবনের ওপর সাধারণ আলোচনা হয়। বক্তারা তাঁদের বক্তব্যে বলেন, জাতির পিতার আন্দোলন সংগ্রামের প্রতিটি ক্ষেত্রে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের প্রেরণা ও অবদান রয়েছে। বক্তরা আরও বলেন, বঙ্গমাতা বঙ্গবন্ধুর কারাগারে বন্দীকালীন সময়ে এবং সংগ্রাম মুখর জীবনে কোন প্রকার চাপের মধ্যে নতিস্বীকার না করতে বঙ্গবন্ধুকে সরাসরি সাহস জুগিয়েছেন। বেগম মুজিব জাতির পিতা ও রাষ্ট্রপ্রধানের সহধর্মিনী হয়েও আজীবন সাধারণ জীবনযাপন করেছেন।
অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্যে মান্যবর রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সকল শহিদ এবং মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
তিনি বঙ্গমাতার সংগ্রামী জীবনের বিভিন্ন দিক উল্লেখ করে বলেন, শেখ মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির পিতা হওয়ার পেছনে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের অনন্য অবদান রয়েছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ প্রদানের ক্ষেত্রেও বঙ্গমাতার পরামর্শ নিয়েছিলেন, যা বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে ইউনেস্কো কর্তৃক স্বীকৃত। জেলাখানায় বসে বঙ্গবন্ধুকে তাঁর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ লিখতে উৎসাহ প্রদানের ক্ষেত্রেও বেগম মুজিবের অবদান অনস্বীকার্য।
তিনি আরও বলেন, মাত্র পাঁচ বছর বয়সের মধ্যে বঙ্গমাতা পিতা-মাতাকে হারিয়ে সংগ্রামী জীবনের মধ্যেই বেড়ে উঠেছিলেন এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে অনবদ্য অবদান রেখে তিনিও হয়ে উঠেন বঙ্গমাতা। তাঁর মত মহিয়সী নারীর জীবনদর্শন অনুসরণ করার মাধ্যমে নারী উন্নয়ন আরও ত্বরান্বিত হবে। মান্যবর রাষ্ট্রদূত জাতির পিতা, তাঁর পরিবারের সকল শহিদ ও মুক্তিযোদ্ধের সকল শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এবং সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য শেষ করেন।
পরিশেষে বিশেষ মোনাজাত ও অতিথিদের আপ্যায়নের মাধ্যমে দিবসের কার্যক্রম সমাপ্ত হয়।
ওআ/