ন্যাভিগেশন মেনু

যেকোনো প্রয়োজনে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ সেনাপ্রধানের


বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, ‘দেশের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক যেকোনো হুমকি মোকাবিলায় সদা প্রস্তুত থাকতে হবে। কর্মদক্ষতা, কঠোর পরিশ্রম ও কর্তব্য নিষ্ঠার পাশাপাশি পতাকার মর্যাদা রক্ষা এবং দেশ মাতৃকার যেকোনো প্রয়োজনে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে ইউনিটগুলোকে প্রস্তুত থাকতে হবে।’

বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে কক্সবাজারের রামু ১০ পদাতিক ডিভিশন সেনানিবাসে নবগঠিত চারটি ইউনিটের পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।

এসময় সেনাপ্রধান বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সেনাবাহিনী নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় তিন লাখ ২৪ হাজার সাতশ পরিবারকে খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি ২৯ হাজার ৬১জন কৃষককে মৌসুমি ফসল বীজ বিনামূল্যে সরবরাহ করেছে। পরিচ্ছদ প্রদান করেছে ২৯ হাজার ২৮৯ টি দুস্থ পরিবারকে। এছাড়া সচেতনা সৃষ্টির লক্ষ্যে সারাদেশে ৭৪ হাজার ২৩৫টি টহল পরিচালানা করেছে সেনা সদস্যরা।’

জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, ‘করোনাকালে সেবার মানদণ্ডে সেনাবাহিনীর চিকিৎসা ব্যবস্থা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্বের কাছে রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমাদের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রম ত্যাগ ও সেবার মানসিকতা এ অর্জনের পেছনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।’

১০পদাতিক ডিভিশন ও কক্সবাজার অঞ্চলের ৪টি ইউনিট এর নবযাত্রার মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী উন্নয়ন রূপকল্প পোর্সেস গোল ২০৩০ এর বাস্তবায়নের পথে আরেকটি মাইলফলক সংযোজিত হলো। এই ডিভিশন সকল প্রশিক্ষণ ও প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি জোরপূর্বক বাস্তু চ্যুত মায়ানমার নাগরিকদের নিরাপত্তা এবং ত্রাণ বিতরণের দায়িত্বে সফলভাবে নিয়োজিত রয়েছে।

অনুষ্ঠান স্থলে সেনাবাহিনী প্রধান উপস্থিত হলে ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও এরিয়া কমান্ডার, কক্সবাজার এরিয়া মেজর জেনারেল আহমদ তাবরেজ শামস চৌধুরী তাকে অভ্যর্থনা জানান। পরে প্যারেড কমান্ডার মেজর রিফাত উদ্দিন ভূঁইয়ার নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি সম্মিলিত চৌকস দল কুচকাওয়াজ প্রদর্শন এবং সেনাবাহিনী প্রধানকে জেনারেল সালাম প্রদান করেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর স্টেশন সদর দপ্তর রামু স্ট্যাটিক সিগন্যাল কোম্পানি রামু, সিএমএইচ রামু এবং ১০ফিল্ড ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের পতাকা উত্তোলন করেন সেনাবাহিনী প্রধান ও উচ্চ পদস্থ সেনা কর্মকর্তাবৃন্দ।

ওআ/