ন্যাভিগেশন মেনু

মার্কিন পররাষ্ট্রনীতিতে নতুন যুগের আহ্বান বাইডেনের


আফগানিস্তান যুদ্ধের সমাপ্তি ঘোষণা করে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতিতে একটি নতুন যুগ হিসেবে চিহ্নিত করার কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

বাইডেন বলেন, 'আমি এই চিরকালের যুদ্ধকে আর প্রসারিত করতে চাচ্ছিলাম না এবং সরে আসাকেও চিরকালের জন্য বাড়াতে চাচ্ছিলাম না।'

স্থানীয় সময় বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) হোয়াইট হাউসে বাইডেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র গত রাতে আফগানিস্তানে ২০ বছরের যুদ্ধ শেষ করেছে। এটি আমেরিকার দীর্ঘতম যুদ্ধ।

শেষ মার্কিন সৈন্য কাবুল ত্যাগের ২৪ ঘণ্টা পর হোয়াইট হাউস থেকে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে বাইডেন প্রত্যাহারের ব্যবস্থাপনা নিয়ে তার সমালোচকদের মুখোমুখি হন।

ভয়েস অব আমেরিকা জানায়, তালেবান পুনরায় আফগানিস্তানের ক্ষমতা নেওয়ার পর দেশটি থেকে আমেরিকান এবং আফগানদের সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে বাইডেন বলেন, এক লাখ ২৪ হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে আমরা ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বিমান পরিবহন সম্পন্ন করেছি। 

কখনও কোনও দেশ এরকম কিছু করেনি বলেও মন্তব্য করেন বাইডেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, 'আফগানিস্তান সম্পর্কে এই সিদ্ধান্ত শুধু আফগানিস্তান নিয়ে নয়, এটি অন্যান্য দেশগুলির পুনর্নির্মাণের জন্য বড় সামরিক অভিযানের একটি যুগের সমাপ্তি।'

কয়েক সপ্তাহ ধরে বাইডেন এবং তার প্রশাসনের সদস্যরা দীর্ঘকাল ধরে থাকার সম্ভাবনা এবং বিশ্বাসযোগ্য নিরাপত্তা হুমকির পরও যুক্তরাষ্ট্রের আরও নাগরিক ও বেসামরিক আফগানদের সরিয়ে নেওয়ার এই বৃহৎ কার্যক্রমের চ্যালেঞ্জ ও সুবিধার দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করেন।

বাইডেন আগেই বলেছিলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী বিমানে করে মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার মিশন শেষ করার জন্য জয়েন্ট চিফস এবং মাঠ পর্যায়ে থাকা তাদের কমান্ডারদের সর্বসম্মত সুপারিশ ছিল। তাদের মতামত ছিল - তাদের সৈন্যদের জীবন রক্ষা এবং যেসব বেসামরিক মানুষ সামনের সপ্তাহ বা মাসগুলোতে আফগানিস্তান ছাড়তে চায়, তাদের প্রস্থানের সম্ভাবনাকে নিরাপদ করার সর্বোত্তম উপায় হলো তাদের সামরিক মিশন শেষ করা।

বাইডেনের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ এবং কিছু মিত্র, আফগানিস্তান থেকে প্রত্যাহারের সময়সীমা মেনে চলার জন্য তার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছিলেন। 

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের সন্ত্রাসী হামলার ২০তম বার্ষিকীর কয়েকদিন আগে যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান ছাড়লো।

এডিবি/