ন্যাভিগেশন মেনু

মির্জাগঞ্জে বিদ্যালয় মাঠে কচুরিপানা, খেলাধুলা বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা


পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার বাজিতা মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে কচুরিপানার জন্মেছে। এর ফলে মাঠে খেলাধুলা করা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।

স্কুলের মাঠটির অবস্থান আগেই সমতলে ছিল। বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের সময় মাঠ থেকে মাটি কেটে ভবনের ভিটি উচুঁ করার ফলে মাঠটি আরও নিচু হয়ে পড়ে। আলাদা কোনও মাঠ না থাকায় খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত ওই বিদ্যালয়ের কয়েক'শ শিক্ষার্থী।

মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মাঠের পশ্চিম পাশের অংশ বাজিতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এবং পূর্ব দিকের অংশ বাজিতা মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। এরমধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অংশই পানিতে ডুবে আছে। মাঠ থেকে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে জন্ম নিয়েছে কচুরিপানা ও বিভিন্ন জাতের ঘাস। দেখে মনে হয় ঘাসের ক্ষেত।

বিদ্যালয় সংলগ্ন কামাল হোসেন নামে এক অভিভাবক জানান, বিদ্যালয়ের সামনে মাঠের জমি আছে। কিন্তু মাটি ভরাট করে উচুঁ না করায় মাঠ কোন কাজে আসছে না। ওই মাঠ থেকে আমরা প্রতিদিন গরুর জন্য খড় নিয়ে আসি।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাকিব জানায়, 'এমন স্কুলে পড়ি খেলার মাঠ নেই। অবসর সময় খেলতে পারিনা। কবে যে এই স্কুলে খেলার জন্য একটি সুন্দর মাঠ দেখতে পারবো জানিনা।'

বাজিতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.বাবুল হোসেন বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে গত বছর হাইস্কুলের অংশ বালু দিয়ে ভরাট করা হয়েছিল। মাঠের চারপাশে নিচু জমি। ভারী বর্ষণে বালু বিভিন্ন স্থানে নেমে গেছে। শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার জন্য অনুপযোগী হয়ে পড়েছে মাঠটি।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রেজাউল করিম বলেন, এই বিদ্যালয়ে আমি সদ্য যোগদান করেছি। বিদ্যালয়ের মাঠের দুরাবস্থা। মাঠ ভরাটের বরাদ্দের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলে অবশ্যই মাঠটি ভরাট করা হবে।

আরএস/সিবি/এডিবি/