ন্যাভিগেশন মেনু

মোদির মন্ত্রিসভায় ৩৬ নতুন মুখ, ৭ মন্ত্রীর প্রমোশন


ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দ্বিতীয় দফার মন্ত্রিসভায় একাধিক রদবদল করেছেন। খারাপ পারফরম্যান্সের জন্য কেউ কেউ বাদ পড়েছেন, আবার ভালো কাজ ও রাজনৈতিক কারণে অনেকে মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছেন।

মোদি সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভার রদবদলের ফলে আরও বড় হলো মন্ত্রিসভা। এতোদিন ৫২ জন মন্ত্রী ছিলেন। এবার তাবেড়ে দাঁড়ালো ৭৭ জনে (প্রধানমন্ত্রীকে বাদ দিয়ে)। 

এবার মোট ৩৬ জন নতুন মন্ত্রী হয়েছেন এবং সাতজন মন্ত্রীকে ক্যাবিনেট পর্যায়ের মন্ত্রী করা হয়েছে।

আপাতত মোদির মন্ত্রিসভায় ৩০ জন ক্যাবিনেট মন্ত্রী আছেন। তাতে একাধিক হেরফের হয়েছে। কয়েকজনের দায়িত্ব বদল হয়েছে। কয়েকজন নয়া মুখ আছেন। কয়েকজন আবার এতোদিন রাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। তাদের ক্যাবিনেট পর্যায়ে মন্ত্রী করা হয়েছে।

১) নরেন্দ্র মোদি: প্রধানমন্ত্রী। সেইসঙ্গে কর্মীবর্গ মন্ত্রক, পারমাণবিক শক্তি দপ্তর, মহাকাশ দপ্তর এবং অন্যান্য যে সব দপ্তর বা মন্ত্রণালয় কাউকে বণ্টন করা হয়নি, তার দায়িত্বে আছেন।

২) রাজনাথ সিং: প্রতিরক্ষা মন্ত্রী।

৩) অমিত শাহ:- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী এবং অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে সমবায় মন্ত্রণালয় পেয়েছেন।

৪) নীতিন গড়কড়ি: সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়। তার হাতে ক্ষুদ্র, ছোটো এবং মাঝারি শিল্পের মন্ত্রণালয়ও ছিল, এখন নেই।

৫) নির্মলা সীতারামন: অর্থ এবং কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

৬) নরেন্দ্র সিং তোমর: কৃষি মন্ত্রণালয়।

৭) এস জয়শংকর: বিদেশ মন্ত্রণালয়।

৮) স্মৃতি ইরানি: কেন্দ্রীয় নারী এবং শিশুকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। সেইসঙ্গে 'স্বচ্ছ ভারত অভিযান' দেখভাল করবেন। তিনি আগে বস্ত্রমন্ত্রী ছিলেন।

৯) পীযূষ গোয়েল: বাণিজ্য, খাদ্য এবং বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেলেন। আগে রেলমন্ত্রী ছিলেন।

১০) ধর্মেন্দ্র প্রধান: শিক্ষামন্ত্রী হলেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে দক্ষতা উন্নয়ন মন্ত্রণালয় মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগে তিনি পেট্রোলিয়াম মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন।

১১) প্রহ্লাদ জোশি: সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং কয়লা মন্ত্রণালয়।

১২) নারায়ণ টাটু রানে: ক্ষুদ্র, ছোটো এবং মাঝারি শিল্প মন্ত্রণালয়।

১৩) সর্বানন্দ সোনোওয়াল: জাহাজ এবং আয়ূষ মন্ত্রণালয়।

১৪) মুখতার আব্বাস নকভি: সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

১৫) বীরেন্দ্র কুমার: সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রণালয়। 

১৭) গিরিরাজ সিং: গ্রামোন্নয়ন এবং পঞ্চায়েত মন্ত্রণালয়।

১৮) জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া: অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়।

১৯) রামচন্দ্র প্রসাদ সিং: লৌহ মন্ত্রণালয়।

২০) অশ্বিনী বৈষ্ণ: রেলমন্ত্রী। সেইসঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তি এবং কমিউনিকেশন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন।

২১) পশুপতি কুমার পরশ: খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রণালয়।

২২) গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত: জলশক্তি মন্ত্রণালয়। 

২৩) কিরেণ রিজিজু: আইন মন্ত্রণালয়। 

২৪) হরদীপ সিং পুরী: পেট্রোলিয়াম মন্ত্রণালয় এবং আবাসন ও নগরায়ন বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

২৫) রাজ কুমার সিং: শক্তি এবং অপ্রচলিত ও পুনর্নবীকরণ শক্তি মন্ত্রণালয়।

২৬) মনসুখ মাণ্ডবিয়া: স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সেইসঙ্গে রাসায়নিক ও সার মন্ত্রণালয় মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি আগে রাসায়নিক ও সার মন্ত্রণালয় এবং বন্দর ও জলপথ মন্ত্রণালয়ে রাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন।

২৭) ভূপেন্দর যাদব: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।

২৮) পুরষোত্তম রূপালা: মৎস্য, প্রাণিসম্পদ ও দুগ্ধজাতমন্ত্রণালয়। 

২৯) জি কিষাণ রেড্ডি: সংস্কৃতি, পর্যটন এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের উন্নয়ন মন্ত্রণালয়।

৩০) অনুরাগ সিং ঠাকুর: তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। সেইসঙ্গে ক্রীড়া মন্ত্রণালয় পেয়েছেন। আগে অর্থ মন্ত্রণালয়ের রাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন।

৩১) মহেন্দ্রনাথ পান্ডে: ভারী শিল্প মন্ত্রণালয়।

রাষ্ট্রমন্ত্রী (স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত) :

১) রাও ইন্দরজিৎ সিং: পরিসংখ্যান মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় এবং কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

২) জিতেন্দ্র সিং: বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ভূবিজ্ঞান মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, কর্মীবর্গ মন্ত্রণালয়, পারমাণবিক শক্তি দপ্তর এবং মহাকাশ দপ্তর।

রাষ্ট্রমন্ত্রী:

৪৫ জনকে রাষ্ট্রমন্ত্রী করা হয়েছে। তাতে নতুন মুখের ছড়াছড়ি। পশ্চিমবঙ্গ থেকে মোট চারজন রাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছেন। তারা হলেন, নিশীথ প্রামাণিক (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়), সুভাষ সরকার (শিক্ষা মন্ত্রণালয়), জন বার্লা (সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয়) এবং শান্তনু ঠাকুর জাহাজ মন্ত্রণালয়)।

এডিবি/