ন্যাভিগেশন মেনু

মোবাইলে প্রেম, বিয়ে করতে চাওয়ায় প্রেমিকাকে গলা কেটে হত্যা


মোবাইল ফোনে প্রেমের সুত্রপাত।ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠতা। তারপর বিয়ে করতে চাওয়ায় প্রেমিকাকে গলাকেটে হত্যা করেছে কথিত প্রেমিক।

ঘটনাটি ঘটেছে নোয়াখালী সদর উপজেলার নোয়ান্ন ইউনিয়নের করমুল্লাপুর গ্রামে। 

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলার ৩নং নোয়ান্নই ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের করমুল্যাহপুর গ্রামের একটি ডোবা থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় ওই তরুণীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) সকালে দুই হত্যাকারীকে বেগমগঞ্জ উপজেলার কেন্দুরবাগ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃত দুইজন হলেন - বেগমগঞ্জ উপজেলার কেন্দুরবাগ গ্রামের বাগারি বাড়ির মৃত জামাল উদ্দিনের ছেলে ইয়াছিন আরাফাত (২৬), একই এলাকার চৌকিদার বাড়ির মো. আব্দুল মালেকের ছেলে মো. রাসেল (২৪)।

নিহত তরুনীর নাম শাহানা (১৮)। তিনি চাঁদপুর জেলার পুরান বাজার গ্রামের শাহ আলমের মেয়ে।

এ ঘটনায় পুলিশ দুই আসামিকে আদালতে হাজির করলে তারা নোয়াখালী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে খুনের দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। পরে আদালত তাদেরকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

নোয়াখালীর সুধারম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নবীর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সংবাদমাধ্যমকে জানান, নিহত শাহানার সাথে মোবাইল ফোনে ইয়াছিন আরাফাতের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে এর আগে কয়েকবার শাহানা চাঁদপুর থেকে নোয়াখালীতে আসে। সর্বশেষ গত ২৯ সেপ্টেম্বর নোয়াখালী আসে শাহানা। তখন শাহানা ইয়াছিনকে বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করে। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটে। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ইয়াছিন ও তার সহযোগী রাসেল কৌশলে শাহানাকে নোয়ান্ন ইউনিয়নের খন্দকার সমিলের পিছনের একটি তিনতলা পরিত্যক্ত বিল্ডিংয়ে নিয়ে হাত-পা বেঁধে গলাকেটে হত্যা করে। পরে মরদেহ বস্তায় ঢুকিয়ে নোয়ান্ন ইউনিয়নের করমুল্লাপুর গ্রামের একটি ডোবার মধ্যে ফেলে দেয়।

তিনি আরও জানান, পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সম্পূর্ণ ক্লুলেস এই হত্যাকাণ্ড মোবাইল ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে মাস্টার মাইন্ডসহ দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে রহস্য উদঘাটন করে।

এডিবি/