ন্যাভিগেশন মেনু

মোংলায় সবুজ অর্থনৈতিক অঞ্চল বিকাশে ফ্রান্সের আইডিসিটির সঙ্গে পাওয়ারপ্যাকের সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর


খুলনার মোংলায় গ্রিন ইকোনমিক জোনের উন্নয়নকল্পে  দেশের বৃহৎ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ‘শিকদার গ্রুপ’ এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান পাওয়ারপ্যাক ইকোনমিক জোন লি: ফ্রান্সভিত্তিক ‘আইডিইসি গ্রুপ এশিয়া’র সাথে সোমবার সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

পাওয়ারপ্যাক ইকোনমিক জোন লিমিটেডের চেয়ারম্যান, রিক হক সিকদার ও পরিচালক রন হক শিকদার এবং আইডিইসি গ্রুপ এশিয়ার চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও), প্যাট্রিস লাফারগু চীনের সাংহাইয়ের ওয়াল্ডরফ অ্যাস্তোরিয়া বল কক্ষে সংশ্লিষ্ট সংস্থার পক্ষে এমওইউতে স্বাক্ষর করেন।

পাওয়ার প্যাক ইকোনমিক জোন (প্রাইভেট) লিমিটেড, মোংলা বন্দরের নিকটে ২০৫ একর জমিতে  দেশের প্রথম বেসরকারী অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করেছে।

অঞ্চলটি মোংলা বন্দরের এক কিলোমিটার এবং বাগেরহাটের হযরত খানজাহান আলী বিমানবন্দরের ২০ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত।

পাওয়ার প্যাক ইকোনমিক জোন ও পদ্মা সেতুর কৌশলগত অবস্থানের কারণে অদূর ভবিষ্যতে মোংলা অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং মোংলা বন্দরের চাহিদা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে।

বাংলাদেশ সরকারের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে মোংলা অর্থনৈতিক অঞ্চল এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং আশা করা হচ্ছে যে মংলা বন্দর এবং মোংলা অর্থনৈতিক অঞ্চলের রফতানিকারক এবং আমদানিকারকদের উপকৃত করবে।

মোংলা অর্থনৈতিক অঞ্চলটি ইতিমধ্যে সবুজ অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। ছয়টি সংস্থা ইতিমধ্যে জোনে জমি এবং অফিসের স্থান পেয়েছে।

জমি পাওয়া ছয়টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পাওয়ারপ্যাক পেট্রোলিয়াম লিমিটেড আট একর, পাওয়ারপ্যাক মতিয়ারা খুলনা লিমিটেড আট একর, পাওয়ারপ্যাক ইস্পাত মিলস লিমিটেড দুই একর, ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড ২ হাজার বর্গফুট এবং সিকদার ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড এক হাজার একর স্কয়ার জমি এবং ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডকে ১১ একর ভূমি পেয়েছে।

প্রক্রিয়াকরণ জোনের ৪৪ শতাংশ জমি ইতিমধ্যে বিভিন্ন শিল্পের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অবশিষ্ট জমিটি এখনও ইউনিট বিনিয়োগকারীদের কাছে আকর্ষণীয় প্রণোদনা এবং সুবিধাসমূহ বিরাজমান। 

উল্লেখ্য, মোংলা অর্থনৈতিক অঞ্চলটি অত্যাধুনিক সুরক্ষিত প্রবেশ প্লাজা, অভ্যন্তরীণ কনটেইনার ডিপো, প্রশাসনিক বিল্ডিং, লরি পার্কিং, মসজিদ, স্টাফ কোয়ার্টার এবং ডরমেটরি, বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্র, বিনিয়োগকারীদের জন্য হোটেল, আধুনিক এবং উচ্চতর সমস্ত সুবিধাদির ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে-   ফায়ার স্টেশন, বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং ইস্পাত মিলগুলি সুসজ্জিত।

এই অর্থনৈতিক অঞ্চলের মাধ্যমে প্রায় ২৫ লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। মোংলা অর্থনৈতিক অঞ্চলটি দেশের প্রথম অর্থনৈতিক অঞ্চল যা সরকারী-বেসরকারী অংশীদারী (পিপিপি) ভিত্তিতে নির্মিত”।

ও আ / এস এস