ন্যাভিগেশন মেনু

মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন অ্যাপ “লাইভ ব্লাড ব্যাংক” উদ্বোধন


 চালু হলো জরুরী  প্রয়োজনে রক্তদাতা ও রক্তগ্রহীতার মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনে তৈরি স্মার্টফোন ভিত্তিক মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন অ্যাপ ‘লাইভ ব্লাড ব্যাংক’।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের উদ্যোগে এবং আইসিটি বিভাগের সার্বিক সহযোগিতায় তৈরি হয় অ্যাপটি।

আজ আগারগাঁও আইসিটি টাওয়ারের বিসিসি মিলনায়তনে তিনি এই অ্যাপটির  আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন।

এই সময় অ্যাপটি সম্পর্কে জানানো হয় ‘লাইভ ব্লাড ব্যাংক’ মোবাইল অ্যাপলিকেশন হল জরুরি প্রয়োজনে রক্তের সন্ধানে রক্তদাতা ও গ্রহীতার জন্য একটি দ্রুত, সহজ এবং নিরাপদ প্ল্যাটফর্ম।

বিভিন্ন জরুরি প্রয়োজনে সহজে ও দ্রুততম সময়ে নিরাপদ রক্তের সন্ধান এবং স্বেচ্ছায় রক্তদান কে উৎসাহিত করতেই মূলত অ্যাপসটি তৈরি করা হয়।

এ উপলক্ষে প্রতিমন্ত্রী বলেন জরুরি রক্তের প্রয়োজনে অনেকেই পেশাদার রক্তদাতা দ্বারা অনেক সময় প্রতারণার স্বীকার হয়ে থাকে। জরুরি সময়ে যেন কাউকে প্রতারিত না হতে হয় সেদিক থেকে এটি একটি নিরাপদ প্ল্যাটফর্ম।

ছাত্রলীগ কর্মীদের প্রতি লাইভ ব্লাড ব্যাংক অ্যাপটিকে সফল করার আহ্বান জানিয়ে পলক বলেন, ছাত্রলীগই লাইভ ব্লাড ব্যাংক অ্যাপ সফল করবে।

মানবতার সেবায় আমাদের সবার রক্ত দেওয়া উচিত। রক্তদাতা এবং রক্তগ্রহীতার মধ্যে এই প্ল্যাটফর্ম একটি সেতু। আমরা সেই সেতুবন্ধন তৈরি করে ছাত্রলীগের কাছে হস্তান্তর করলাম।

বাংলাদেশে এখন বছরে প্রায় ১০ লাখ ব্যাগেরও বেশি রক্তের প্রয়োজন হয়। যার ৮০ ভাগই পাওয়া যায় স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের কাছ থেকে।

কিন্তু জরুরি অবস্থায় সঠিক রক্তদাতার সন্ধান পাওয়ার বিষয়ে এই মোবাইল অ্যাপটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

আইসিটি বিভাগ থেকে জানানো হয়, অ্যাপটির বেটা ভার্সন এরইমধ্যে প্লেস্টোরে পাঁচ হাজারের বেশিবার ডাউনলোড করা হয়েছে। এদের মধ্যে প্রায় চার হাজার ব্যক্তি স্বেচ্ছায় রক্তদানে ইচ্ছুক হিসেবে নিবন্ধন করেন।

এরইমধ্যে এক হাজার ২৫০ বার এই অ্যাপে রক্ত চেয়ে অনুরোধ করা হয়েছে। পাঁচশবারের বেশি রক্ত দেওয়া হয়েছে।

আইওএস প্ল্যাটফর্মে এখনও অ্যাপটি পাওয়া না গেলেও গুগল প্লেস্টোর (http://bit.ly/livebloodbank) থেকে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিংয়ের স্মার্টফোনের জন্য ডাউনলোড করা যাবে।

অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব এনএম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ ইব্রাহীম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাইদুর রহমান হৃদয়  ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ জুবায়ের আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন (এজিএস, ডাকসু) এবং সিআরআই এর সহকারী সমন্বয়ক তন্ময় আহমেদ।

ওয়াই এ /এস এস