ন্যাভিগেশন মেনু

রিমান্ডে নেওয়া হলো ভাস্কর্য ভাঙচুর মামলার ৪ আসামীকে


কুষ্টিয়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত চারজনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) কুষ্টিয়া চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত শুনানি শেষে তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক ও এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিশিকান্ত দাস।

তিনি জানান, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় আসামিদের আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করেছি। দুই মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর ১০ দিন এবং দুই শিক্ষকের সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে দুই ছাত্রের পাঁচ দিন ও দুই শিক্ষকের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

গ্রেপ্তারকৃত দুই শিক্ষার্থী হলেন- জুগিয়া এলাকার ইবনে মাসউদ মাদ্রাসার ছাত্র ও মিরপুর উপজেলার শিংপুর গ্রামের সমশের মৃধার ছেলে আবু বক্কর ওরফে মিঠুন (১৯) এবং দৌলতপুর উপজেলার ফিলিফনগর গ্রামের সামছুল আলমের ছেলে সবুজ ইসলাম ওরফে নাহিদ (২০)। আর একই মাদ্রাসার গ্রেপ্তার দুই শিক্ষক হলেন- মিরপুর উপজেলার ধুবইল গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে মো. আলামিন (২৭) এবং পাবনা জেলার দিয়াড় বামুন্দি গ্রামের আজিজুল মণ্ডলের ছেলে মো. ইউসুফ আলী (২৭)।

শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে দুর্বৃত্তরা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর করেন। পরে ঘটনাস্থলে থাকা সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশ। পরদিন শনিবার দিবাগত রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ইবনে মাসউদ মাদ্রাসার দুই ছাত্র এবং তাদের সহযোগিতা করার জন্য দুই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।


রবিবার কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনসে লিখিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত জানান, ছাত্র আবু বকর মিঠুন ও সবুজ ইসলাম নাহিদ সরাসরি ভাস্কর্য ভাঙার কাজটি করে। সেসময় শিক্ষক আলামিন হোসেন ও ইউসুফ আলী পাহারায় ছিলেন।

হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমের বয়ানে উদ্বুদ্ধ হয়ে দুই মাদ্রাসাছাত্র কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ওআ/