ন্যাভিগেশন মেনু

যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য-অস্ট্রেলিয়ার নিরাপত্তা চুক্তি


চীনকে রুখতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়া একটি বিশেষ নিরাপত্তা ত্রিপক্ষীয় চুক্তির ঘোষণা দিয়েছে। এই চুক্তির আওতায় তারা উন্নত প্রযুক্তির প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ভাগাভাগি করবে।

বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিবিসি‘র এক প্রাতবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এই চুক্তিটি পরিচিত পেয়েছে অকাস (এইউকেইউএস) নামে।

বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ও অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন নতুন নিরাপত্তা চুক্তি চালুর ব্যাপারে একটি যৌথ বিৃবতি জারি করেন।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হচ্ছে, এই চুক্তির ফলে প্রথমবারের মতো পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন তৈরি করতে পারবে অস্ট্রেলিয়া। চুক্তির অধীনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, কোয়ান্টাম প্রযুক্তি ও সাইবারের মতো বিষয়গুলোও রয়েছে।

দেশ তিনটি চীনের ক্রমবর্ধমান শক্তি ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে তার উপস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। এই চুক্তির ফলে অস্ট্রেলিয়া ফ্রান্সের ডিজাইন করা সাবমেরিন বানানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে।

এর আগে ২০১৬ সালে অস্ট্রেলিয়ান নেভির জন্য ১২টি সাবমেনিন বানাতে অস্ট্রেলিয়া ও ফ্রান্সের মধ্যে ৫০ বিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলারের চুক্তি হয়েছিল। এটি ছিল অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি মূল্যের প্রতিরক্ষা চুক্তি। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া এখন এই চুক্তি থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ক্যানবেরার দাবি ছিল, এই সাবমেরিন বানানোর ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া থেকেই বেশিরভাগ যন্ত্রাংশ ব্যবহার করতে হবে। যার কারণে প্রকল্পটি বিলম্ব হয়ে যায়।

যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘নতুন চুক্তিতে প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে আমরা অস্ট্রেলিয়ার পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন তৈরির ব্যাপারে সমর্থন করার অঙ্গীকার করছি। এটি বাস্তবায়ন হলে তা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে স্থিতিশীলতা আনতে সহায়তা করবে।’

নেতারা বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া একটি অ-পারমাণবিক রাষ্ট্র হিসেবে তার বাধ্যবাধকতাকে পূর্ণতা দিকে অঙ্গীকারাবদ্ধ।’

সিবি/ওআ