ন্যাভিগেশন মেনু

যুবতী কারবারি কাজল ও বিথি গ্রেপ্তার


রাজধানী ঢাকার শাহ আলী ও মুন্সিগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান এলাকা থেকে দুজন নারীকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৪। র‌্যাব-৪-এর অপারেশন অফিসার জিয়াউর রহমান বলেন, ওই দুজন সংঘবদ্ধ নারী পাচারকারী চক্রের সদস্য।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর শাহআলী এবং মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে পাসপোর্ট, ভিসা কার্ড এবং দুটি মোবাইলসহ সংঘবদ্ধ নারী পাচারকারী চক্রের দুজন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তারা হল- তানিয়া আক্তার ওরফে কাজল (৩০) ও বিথি আক্তার (২৫)। র‍্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকারীরা পাচারকারী চক্রের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত বলে তথ্য দিয়েছেন। এই চক্রটি বিভিন্ন প্রতারণামূলক ফাঁদে ফেলে এবং প্রলোভন দেখিয়ে পাশের দেশ ভারতে নারী ও তরুণীদের পাচার করত।

তারা পাশের দেশে বিভিন্ন মার্কেট, সুপারশপ, বিউটি পার্লারসহ বিভিন্ন চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে সেখানে নারীদের পাচার করত। তাদের মূল টার্গেট ছিল দরিদ্র ও নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণির তরুণী। দেশে ২০ থেকে ২৫ জন এই চক্রের সঙ্গে জড়িত ।

এই চক্রটি প্রথমে দেশের বিভিন্ন দরিদ্র ও অসহায় তরুণীদের টার্গেট করে। পরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় তরুণীদের সঙ্গে পরিচিত হয়ে তাদের সঙ্গে সু-সম্পর্ক গড়ে তোলে। শেষে সেই তরুণীদের দেশের বাইরে সহজে অর্থ উপার্জনের জন্য বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখায়।

এরপর প্রথমে আসামিরা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তরুণীদের একত্র করে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর সীমান্তবর্তী এলাকায় তাদের সহযোগীদের কাছে হস্তান্তর করে। এরপর ভুক্তভোগী তরুণীদের নগদ অর্থের বিনিময়ে ও বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন লোকজনের সঙ্গে অনৈতিক কাজে লিপ্ত করানো হয়।

পরে সুবিধাজনক সময়ে স্থলপথে অরক্ষিত অঞ্চল দিয়ে তাদের পাচার করে । পরবর্তীতে ওই নারীদের পাশের দেশের পশ্চিমাঞ্চলসহ অন্য এলাকার নিষিদ্ধ পল্লীতে অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করা হয়।

বাধ্যতামূলকভাবে অনৈতিক কাজে নিয়োজিত করার উদ্দেশ্যেই তাদের পাচার করা হতো বলে গ্রেপ্তার নারীরা জানান। চক্রটি রাজধানী ও মুন্সিগঞ্জ জেলার বেশ কয়েকটি এলাকায় সক্রিয় রয়েছে। 

সম্প্রতি আসামিরা একজন তরুণীকে মিরপুর থেকে একটি ভাড়া করা প্রাইভেটকারে ঝিনাইদহের সীমান্তবর্তী এলাকায় নিয়ে যায়। এরপর সুবিধাজনক সময়ে অবৈধভাবে সীমান্ত দিয়ে পাশের দেশে তাদের এজেন্টের কাছে হস্তান্তর করে।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা জানায়, জনপ্রতি এক লাখের অধিক টাকায় প্রত্যেক ভুক্তভোগীকে পাশের দেশের দালালের কাছে বিক্রি করত।

এস এস