প্রচণ্ড গরমে বেশ কিছুদিন যাবৎ রাজধানীবাসী বৃষ্টির প্রতিক্ষায় ছিলেন। অবশেষে রবিবার সন্ধ্যায় ঝড়োহাওয়াসহ এক পশলা বৃষ্টি বয়ে গেলো রাজধানী ওপর দিয়ে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, এটা ছিল কালবৈশাখী ঝড়। ঝড়ে বাতাসের গতি ছিল সর্বোচ্চ ৬৪ কিলোমিটার।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রাজধানীর মালিবাগ, বাড্ডা, হাতিরঝিল, রামপুরা, তেজগাঁওসহ বিভিন্ন এলাকায় ঝড়োবৃষ্টি হয়।
রবিবার (৪ এপ্রিল) আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের আগে থেকেই পূর্বাভাস ছিল সারাদেশে আজ বজ্র ও বৃষ্টিপাত হবে। কোথাও কোথাও শিলা বৃষ্টিও হতে পারে। আজ কিছু কিছু জায়গায় কালবৈশাখী হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকার ঝড়ে বাতাসের গতি ছিল সর্বোচ্চ ৬৪ কিলোমিটার।’
রাজধানী ছাড়াও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে এই কালবৈশাখী ঝড়। নাটোর, মেহেরপুর, বগুড়া, রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, ময়মনসিংহ, জামালপুরসহ দেশের অনেক জেলায় কালবৈশাখী বয়ে গেছে।
বিকেল ৩টায় তীব্র কালবৈশাখী ঝড়ে গাইবান্ধায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঘরবাড়ি, বিদ্যুতের খুঁটি, দোকানপাট। নষ্ট হয়েছে আম, লিচুর মুকুল ও ধানসহ বিভিন্ন ফসল।
গাইবান্ধায় নিহতরা হলেন - সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ময়না বেগম, পলাশবাড়ীর আবদুল গাফফার মিয়া, জাহানারা বেগম ও ফুলছড়ির শিমুলী আকতার। ঝড়ের আতঙ্কে মারা গেছেন সাদুল্লাপুরে আবদুস সালাম সর্দার নামে এক ব্যবসায়ী।
এডিবি/