রিজেন্ট গ্রুপ ও হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদকে ১০ দিনের রিমান্ড শেষে আজ আদালতে তোলা হচ্ছে।
রবিবার (২৬ জুলাই) দুপুরে তাকে ঢাকার সিএমএম আদালতে তোলার কথা রয়েছে।
আটকের পর রিমান্ডের ১০ দিনের মধ্যে গোয়েন্দা পুলিশের কাছে ৬ দিন ছিল সাহেদ। পরে র্যাবের কাছে মামলা হস্তান্তর হলে বাকি ৪ দিন জিজ্ঞাসাবাদ করে র্যাব। রিমান্ডে বিভিন্ন প্রতারণার কথা সাহেদ স্বীকার করেছেন বলে জানা গেছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ জুলাই রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় মেট্রোরেল প্রকল্পের একটি সাব-কন্ট্রাক্টর প্রতিষ্ঠান একসিডের পক্ষে রেজাউল করিম বাদী হয়ে এ মামলা করেন। মামলায় সাহেদ, মিজানুরসহ অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, মেট্রোরেলে কর্মরত ৭৬ জন কর্মীর করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে রিজেন্ট হাসপাতাল। এজন্য মাথাপিছু সাড়ে ৩ হাজার টাকা নেয়া হয়। কিন্তু পরীক্ষা না করেই করোনাভাইরাসের ভুয়া প্রতিবেদন দেওয়া হয়। এ কারণে মেট্রোরেল প্রকল্পের কর্মীদের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যায়।
মেট্রোরেল প্রকল্প শ্রমিকপ্রতি সাড়ে ৩ হাজার টাকা জমা দিয়ে ৭৬ জনের করোনা পরীক্ষা করায় রিজেন্ট হাসপাতালে। তিনজনের ফল পজিটিভ ও ৭৩ জনের নেগেটিভ আসে। পরে তারা জানতে পারেন সব প্রতিবেদনই ভুয়া ছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানটি ২০ জুলাই মামলা করে উত্তরা পশ্চিম থানায়।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তারের পর সাতক্ষীরায় দায়ের করা অস্ত্র মামলায় সাহেদের বিরুদ্ধে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করবেন র্যাব-৬-এর তদন্ত কর্মকর্তা।
এ ব্যাপারে র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল তোফায়েল মোস্তাফা সারোয়ার জানান, সাহেদের দেওয়া অনেক তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। তবে রিমান্ড শেষ হওয়ায় আজ সাহেদকে ভার্চুয়াল আদালতে তোলা হবে। পরে অস্ত্র মামলায় তার রিমান্ড চাইবেন র্যাব-৬-এর তদন্ত কর্মকর্তা।
এর আগে, বুধবার (১৫ জুলাই) সকালে বোরকা পরিহিত অবস্থায় ছদ্মবেশে ভারতে পালানোর সময় সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত থেকে সাহেদকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রসঙ্গত ৬ জুলাই, নানা অভিযোগের ভিত্তিতে রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালায় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এরপর অভিযোগের সত্যতা মেলায় রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখা সিলগালা করে দেয় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদসহ ১৭ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়।
এডিবি/