ন্যাভিগেশন মেনু

সেপ্টেম্বরে শুরু চুল্লী স্থাপনের কাজ:

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিদর্শনে সংসদীয় কমিটি ও আইএমইডি


পাবনার ঈশ্বরদীতে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের অগ্রগতি ও সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেছেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও প্রকল্প বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি)। 

রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সংসদীয় স্থায়ী কমিটির উপ-কমিটির আহ্বায়ক, সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত তারা প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখেন। পরিদর্শন শেষে তারা বৈঠকে মিলিত হন।

বৈঠক সুত্রে জানা যায়, রূপপুর প্রকল্পের রাশিয়ান বিশেষজ্ঞরা সংসদীয় কমিটির কাছে প্রকল্পের নির্মাণ কাজের সার্বিক অগ্রগতি তুলে ধরেন। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ শিডিউল অনুযায়ী এগোচ্ছে বলে পরিদর্শনকারী প্রতিনিধি দল ও প্রকল্প বাস্তবায়ন, পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগকে জানিয়েছেন প্রকল্পের রাশিয়ান কর্মকর্তারা।

বৈঠকে সংসদীয় কমিটির সদস্য মঞ্জুর হোসেন এমপি, আদিবা আনজুম মিতা এমপি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আলী হোসেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের পরিচালক ড. শৌকত আকবর এবং আইএমইডির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের পরিচালক ড. শৌকত আকবর বলেন, 'রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে রাশিয়ান নকশা, কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায় ভিভিইআর-১২০০ প্রযুক্তির দুটি রি-অ্যাক্টর স্থাপন করা হবে। চলতি মাসেই ইউনিট-১ এর চুুল্লী স্থাপনের কাজ শুরু করতে আমরা কাজ করছি। করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে প্রকল্পের কাজ অব্যাহত ছিল।'

প্রকল্প সুত্রে জানা যায়, এই প্রকল্পে রাশিয়ার উদ্ভাবিত সর্বাধুনিক (থ্রি প্লাস জেনারেশন) ‘ভিভিইআর ১২০০’ প্রযুক্তির পরামণু চুল্লী ব্যবহার করা হবে। প্রতিটি এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুটি চুল্লি স্থাপন করা হবে রূপপুরে। ২০২৩ সালে এ প্রকল্পের প্রথমটি এবং পরের বছর দ্বিতীয় চুল্লিটি চালু হওয়ার কথা। দুই ইউনিটের এ বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে। 

এই প্রকল্প বাস্তবায়নে সহযোগিতা করছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান রোসাটম। আর ঠিকাদার হিসেবে কাজ করছে রাশিয়ান প্রতিষ্ঠান এটমস্ট্রয় এক্সপোর্ট। বাস্তবায়ন ব্যয় বেশি হলেও দীর্ঘমেয়াদি এবং গ্যাস, তেল ও কয়লার মতো জ্বালানি খরচ না থাকায় তুলনামূলক সস্তা হবে এই বিদ্যুৎ। 

এই প্রকল্পের ‘লাইফ’ বা জীবনীশক্তি হবে ৫০ বছর। আর তা সংস্কার করলে দাঁড়াবে ৮০ বছর।

প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করে। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ২০১০ সালে জাতীয় সংসদে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত প্রস্তাব গ্রহণ ও ২০১২ সালে বাংলাদেশ অটোমিক এনার্জি রেগুলেটরি অ্যাক্ট পাস করা হয়। ২০১৩ সালের ২ অক্টোবর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন নির্মাণ প্রকল্পের কাজের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জেএইচ/এডিবি/