কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সোলাইমান সয়লু।
শনিবার সকাল ৮ টায় বিশেষ বিমানে তুরস্কের ইস্তাম্বুল থেকে সরাসরি কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌছান তিনি।
পরে সকালে উখিয়া উপজেলার বালুখালী ৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ২০২১ সালের ২২ মার্চে পুড়ে যাওয়া তার্কিশ সরকারি সংস্থা আফাদ পরিচালিত ৫০ শয্যার ফিল্ড হাসপাতালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
এসময় রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় সহযোগী হিসেবে বাংলাদেশের পাশে তুরস্ক আছে বলে জানিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সোলাইমান সয়লু।
তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ যে মানবিকতার পরিচয় দিয়েছে, তা বিশ্বে বিরল। রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান দরকার। বিশ্ব নেতৃত্বের হস্তক্ষেপেই কেবল এটি সম্ভব। যতদিন এই সংকট কাটছে না, ততদিন রোহিঙ্গা ব্যবস্থাপনায় সব ধরনের সহযোগিতা দেবে তুরস্ক।’
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমানও বক্তব্য রাখেন।
পরে তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একই এলাকায় আগুনে আশ্রয়হারা রোহিঙ্গাদের জন্যে নির্মাণাধীন অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি ১৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তুর্কি রেড ক্রিসেন্টের স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম ও তুরস্কের দিয়ানাত ফাউন্ডেশন পরিচালিত রোহিঙ্গাদের জন্য সাবান তৈরির কারখানা পরিদর্শন করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন তুরস্কের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার ইসমাইল ছাতাকলু, স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের ভাইস মিনিস্টার খালিল বল দামির, তুরস্কের দুজন সাংসদ, বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার কামরুল হাসান, ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ রেজওয়ান হায়াত, জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ, পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান, ১৪ এপিবিএন অধিনায়ক নাইমুল হক, ১৬ এপিবিএন অধিনায়ক তারিকুল ইসলাম তারিক, ৮ এপিবিএন অধিনায়ক শিহাব কায়সার খান, উখিয়া সার্কেল এএসপি শাকিল আহমেদ, উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন আহমেদসহ পদস্থ কর্মকর্তারা।
