ন্যাভিগেশন মেনু

লাইফবয় করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কার্যকর


লাইফবয় প্রথম সোপ ব্র্যান্ড যা নিশ্চিত করে তার লিকুইড হ্যান্ডওয়াশ এবং অ্যালকোহল বেসড হ্যান্ড স্যানিটাইজার করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ৯৯.৯% এর অধিক কার্যকর। লাইফবয়-এর পাশাপাশি  এটি আরও অনেক হ্যান্ড হাইজিন পণ্যগুলির জন্য প্রমাণিত হবে বলে আশা করা যায়।

বহু বছরের গবেষণায় দেখা যায়, জনস্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের পরামর্শ অনুসারে নিয়মিত সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধোয়া জীবাণু প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকর।

আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মাইক্রোব্যাক ল্যাবরেটরিজে প্রাথমিকভাবে পরিচালিত পরীক্ষার ফলাফল বছরের পর বছর হয়ে আসা গবেষণায় নতুনমাত্রায় অবদান রাখে এবং একই সাথে এশিয়া, আফ্রিকা এবং মধ্য প্রাচ্যে বিক্রিত লাইফবয়-এর লিকুইড হ্যান্ডওয়াশ এবং অ্যালকোহল বেসড হ্যান্ড স্যানিটাইজার জেল  (কোভিড ১৯) এর জন্য দায়ী SARS-CoV-2 করোনভাইরাসকে সফলভাবে নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম, সেটিও প্রমাণ করে।

ইউনিলিভার স্কিন ক্লিনজিং-এর আর অ্যান্ড ডি ভাইস প্রেসিডেন্ট  ড. বিভব সানজগিরি বলেন, “এই পণ্যগুলির প্রযুক্তি এবং কীভাবে তারা কাজ করে, তার সাথে ভাইরাসের গঠনের সংযোগ রয়েছে। করোনাভাইরাস একটি বদ্ধ ভাইরাস, যা ফ্যাটি অণু দ্বারা তৈরি একটি প্রতিরক্ষামূলক স্তর দিয়ে আবদ্ধ থাকে। প্রাথমিক ফলাফলগুলো বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণ করে যে, পরীক্ষিত পণ্যগুলো কোভিড ১৯ করোনাভাইরাস নিষ্ক্রিয় করে; আর এটি করা হয় ভাইরাসের প্রতিরক্ষামূলক স্তরটিকে চূর্ণ-বিচূর্ণ  করে।”

ইউনিলিভার স্কিন ক্লিনজিং-এর গ্লোবাল ইভিপি সামির সিং বলেন, বিশ্বব্যাপী এই মহামারীতে আমরা যে অনিশ্চয়তার মুখোমুখি হয়েছি তা আমাদের সকলের জন্য ভীষণ চ্যালেঞ্জের। আমরা সবাই যখন ভ্যাকসিন তৈরির অপেক্ষা করছি তখন সাবান একাই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। আমরা আশা করছি এই সাইন্টিফিক পরীক্ষাটি মানুষকে এই সময়ে আশ্বস্ত করবে এবং আরও বড় পরিসরে হাত ধোয়া এবং স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তুলতে  উৎসাহিত করবে।

লাইফবয় হাত ধোয়ার ব্যাপারে উৎসাহিত করতে এবং এর মাধ্যমে “বিহেভিওর চেঞ্জ”-এর জন্য প্রতি বছর বিশ্বে বৃহত্তম একটি প্রোগ্রাম চালায়। বিশ্বব্যাপী চলা মহামারির প্রতিক্রিয়া হিসাবে, ব্র্যান্ডটি একটি জনসচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন শুরু করে যেখানে বলা হয়, হাত পরিষ্কার রাখার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং যেকোনও সাবান ব্যবহার করা সংক্রমণের বিস্তার হ্রাস করতে সহায়তা করে। ব্র্যান্ডটি সাবান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ওয়াইপ সহ ২০ কোটিরও বেশি প্রোডাক্ট বিভিন্ন সংস্থা এবং উদ্যোক্তাদের অনুদান দেয়।

লাইফবয় সম্পর্কেঃ

একটা বিশ্বসেরা হেলথ সোপ ব্র্যান্ড হিসেবে লাইফবয়-এর লক্ষ্য হাইজিন প্রোডাক্ট সবার কাছে সাশ্রয়ী  মূল্যে পৌঁছে দেয়া এবং স্বাস্থসম্মত ভালো অভ্যাস প্রচার করা।

১৮০০ সালে প্রথম লাইফবয়-এর উদ্ভাবন  হয়েছিল মহামারী কলেরা ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধ করতে। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় হ্যান্ডওয়াশিং বেহেভিওর চেঞ্জ প্রোগ্রাম গুলোর মধ্যে একটা পরিচালনা করছে  লাইফবয়, যেখানে ১০০ কোটির বেশি মানুষের কাছে তারা পৌঁছে যাচ্ছে।

সাবান দিয়ে হাত ধোয়া মানুষের জীবন বাঁচায়। লাইফবয় এর ‘হেল্প এ চাইল্ড  রিচ ৫’ ক্যাম্পেনের লক্ষ্য ডায়রিয়া এবং কলেরাজনিত   রোগে শিশু মৃত্যুর হার কমিয়ে আনা।

ইউনিলিভার সম্পর্কেঃ

ইউনিলিভার পৃথিবী জুড়ে অন্যতম বিউটি এবং পার্সোনাল কেয়ার, হোম কেয়ার এবং ফুড অ্যান্ড রিফ্রেশমেন্ট প্রোডাক্ট সাপ্লাইয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। ১৯০ টি দেশে ২.৫ কোটি ক্রেতার কাছে পৌঁছে দিচ্ছে তাদের প্রোডাক্ট প্রতিদিন। ইউনিলিভার ব্র্যান্ডটির সাথে ১,৫৫,০০০ কর্মচারী জড়িত এবং ২০১৯ সালে ব্র্যান্ডটির বিক্রির হার ছিল ৫২ কোটি ডলার। ইউনিলিভার- এর প্রায় ৪০০ ব্র্যান্ড, পৃথিবী জুড়ে ঘরে ঘরে রয়েছে: ডাভ, নর্, ডার্ট ইজ গুড, রেক্সোনা, হেলম্যান্স, লিপ্টন, ওয়ালস, লাক্স, ম্যাগনাম, এক্স, সানসিল্ক এবং সার্ফ।

ইউনিলিভার-এর Sustainable Living Plan (USLP)  কোম্পানির স্ট্রাটেজি’কে আদর্শে রেখে পরিকল্পনা করা হয়েছে,

২০২০ সালের মধ্যে এক কোটিরও বেশি মানুষকে স্বাস্থ্য এবং সুস্থতার উন্নতি পদক্ষেপে সাহায্য করা

২০৩০ সালের মধ্যে আমাদের পণ্যগুলির পরিবেশগত প্রভাব হ্রাস করা।

২০২০ সালের মধ্যে কয়েক মিলিয়ন মানুষের জীবন-জীবিকা বাড়ানো।

ইউএসএলপি তার মান তৈরি করে driving growth and trust, মূল্য হ্রাস এবং ঝুঁকি কমিয়ে। কোম্পানির লিভিং ব্র্যান্ডগুলো অন্যান্য ব্র্যান্ডের চেয়ে ৬৯%  বেশি ব্যবসা করছে এবং ২০১৮ সালে কোম্পানির ৭৫% গ্রোথ বাড়িয়ে দিয়েছে।  

২০১০ সাল থেকে ইউনিলিভার, সাসটেনেবল লিভিং প্ল্যানের মাধ্যমে পদক্ষেপ নিচ্ছে যেন কয়েক কোটি মানুষকে তাদের স্বাস্থ্য এবং সুস্বাস্থ্যের উন্নতিতে সহায়তা করতে পারে, পরিবেশের উন্নতিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করে সুন্দর পরিবেশ গড়ে তুলতে পারে এবং লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন-জীবিকার মান উন্নতির জন্য ব্যবসার পরিধি বৃদ্ধি করতে পারে। আমরা ইতিমধ্যে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছি এবং আমাদের লক্ষ্য বাস্তবায়িত করতে সম্প্রতি আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছি আমাদের প্লাস্টিক প্যাকেজিং ২০২৫ সালের মধ্যে পুরোপুরি ব্যবহারযোগ্য,পুনর্ব্যবহারযোগ্য কিংবা কমপোস্টেবল করে তুলবো। যদিও আরো অনেক কিছু অর্জন করা বাকি আছে, আমরা Dow Jones Sustainability Index এ সেক্টর লিডার এবং Globescan/SustainAbility Global Corporate Sustainability Leaders survey তে অষ্টম বারের মতন টপ কোম্পানি হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য গর্বিত।

এস এস