ন্যাভিগেশন মেনু

লাইসেন্স বাতিল হচ্ছে গ্রামীণফোন ও রবির


মোবাইলফোন অপারেটর গ্রামীণফোন ও রবির লাইসেন্স বাতিলের সিদ্ধান্ত  নিয়েছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি।

নিয়মানুযায়ী লাইসেন্স বাতিলের আগে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠাবে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি।

বিটিআরসির  এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, পাওনা টাকা আদায়ের জন্য ব্যান্ডউইথ সীমিতকরণ ও এনওসি (নো অবজেকশন সার্টিফিকেট) বন্ধের পর এ উদ্যোগ নিয়েছে সংস্থাটি।

বিটিআরসি’র সূত্রে জানা গেছে- বিটিআরসির চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক সরকারি সফরে  ভুটানে রয়েছেন। এজন্য কারণ দর্শানোর নোটিশ তৈরি করতে দুই-একদিন সময় লাগবে। তিনি দেশে ফিরলেই অপারেটর দুটিকে নোটিশ পাঠানো হবে ।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, “আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত হচ্ছে— কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা। বারবার অপারেটর দুটিকে তাগাদা দেওয়া সত্ত্বেও তারা রাষ্ট্রীয় বকেয়া পরিশোধ করছে না। ভালো সাড়া পাচ্ছি না। তারা টাকা না দেওয়ার নানা ফন্দি আঁটছে। টালবাহানা ও সময়ক্ষেপণ করছে।

এছাড়া তিনি বলেন, আমাদের আইনের কাঠামোতে যা আছে, আমরা তা করবো। আমরা অপারেটর দুটিকে নোটিশ দেবো। সেই নোটিশে লাইসেন্স বাতিলের কথাও থাকবে। আমরা অপারেটর দুটিকে দেখবো— তারা কী সাড়া দেয়, কী রিঅ্যাক্ট করে। পরবর্তীতে সেই মতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।” 

এর আগে গত এপ্রিল মাসে গ্রামীণফোনকে প্রায় ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা বকেয়া দাবি করে এবং রবিকে  ৮৬৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা দাবি করে নোটিশ পাঠায় বিটিআরসি।

পরবর্তীতে টাকা পরিশোধের জন্য অপারেটর দুটিকে দুই সপ্তাহ সময় দেওয়া হলেও টাকা পরিশোধ না করায় গত ৪ জুলাই অপারেটর দুটির ব্যান্ডউইথ সীমিত করে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে এই আদেশ প্রত্যাহার করে এনওসি বন্ধ করে দেওয়া  হয়।