ন্যাভিগেশন মেনু

শহীদ সাদীর ৪৯ তম শাহাদৎ বার্ষিকী আজ


শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল ইসলাম সাদীর ৪৯ তম শাহাদৎ বার্ষিকী আজ। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর স্বাধীনতার ঊষালগ্নে নিয়াজীর আত্মসমর্পণের মাত্র ২ ঘন্ট আগে তিনি অপর দুইজন সহযোদ্ধা রফিক ও সফিক সহ সম্মুখযুদ্ধে সাহাদৎ বরণ করেন।

রুহুল ইসলাম সাদী রাজবাড়ী জেলার পাংশা থানার বয়রাট গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। তার পিতা আব্দুল ওহাব মিয়া এলাকার একজন প্রসিদ্ধ ব্যাক্তি। সাদী পাকিস্তান বিমান বাহিনীতে কর্মরত ১৯৭১ সালের আগষ্ট মাসে পাকিস্তান থেকে পালিয়ে দেশে এসে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।

শহীদ সাদী এলাকার অনেক যুবককে স্বশস্ত্র ট্রেনিং এর মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে উদ্বুদ্ধ করেন ।

কুমারখালী, পাংশাসহ অনেক জায়গাতে যুদ্ধে অংশ নেওয়ার পর রাজবাড়ীর লোকোশেড নামক স্থানে সম্মুখযুদ্ধে যুদ্ধে প্রথমে পায়ে গুলি লেগে হানাদার বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন এবং হানাদাররা তিন বীর যোদ্ধাকে নির্মম ভাবে হত্যা করে।

যুদ্ধ শেষে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মতিন মিয়ার নেতৃত্বে তিন শহীদকে রাজবাড়ীর লক্ষীকোল মসজিদের সামনে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয় যা আজও তিন শদীদের মসজিদ হিসেবে খ্যাত ।

দিনটি উপলক্ষে শহীদদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, পাংশা থানা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ আরও অনেক সংগঠন।

শহীদের গ্রামে শহীদ সাদী স্মৃতি সংঘ ও পাঠাগারে, মসজিদে, ঢাকার রুপনগরে শহীদের পরিবারের নেতেৃত্বে, মিলাদ মাহফিল, দোয়া ও কাংগালী ভোজের আয়োজন করা হয়।

ওআ/