ন্যাভিগেশন মেনু

শনি উপগ্রহে সমুদ্রে হাজার ফুট গভীরতা দেখে বিস্মিত বিজ্ঞানীরা


একশো, দুশো নয়। হাজার ফুট গভীর সমুদ্রের হদিশ মিলল শনির উপগ্রহ টাইটানে । যা দেখে বেশ বিস্মিত বিজ্ঞানী মহল। অঙ্ক কষে তাঁরা বলছেন, এই আয়তন পৃথিবীর অন্তত পাঁচটা বড়সড় লেকের সমান।

এতটা গভীরতায় বেশ ভালভাবেই কোনও রোবট সাবমেরিন চলাফেরা করতে পারে বলে মত তাঁদের। আপাতত জলের গভীরতা নিয়ে নতুন করে গবেষণায় মগ্ন বিজ্ঞানীরা।

শনির উপগ্রহ টাইটানের উত্তর মেরু অঞ্চলে ক্র্যাকেন মেয়ার নামে এক বড়সড় জলাশয়ের খোঁজ মিলেছিল আগেই। সেখানে ইথেন এবং মিথেন গ্যাস তরল আকারে রয়েছে। এই বিপুল সমুদ্রের  আয়তন ১ লক্ষ ৫৪ হাজার বর্গ মাইল।

এসব তথ্য জানাই ছিল। কিন্তু জলাশয়ের গভীরতা কতটা, সে বিষয়ে কোনও ধারণা ছিল না বিজ্ঞানীদের। কর্নেল সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোফিজিক্স অ্যান্ড প্ল্যানেটারি সায়েন্সের (CCAPS) হিসেব নিকেশ থেকে তা স্পষ্ট হয়ে গেল।

বলা হচ্ছে, টাইটানের এই সমুদ্রের আয়তন বা গভীরতার সঙ্গে পৃথিবীর মিল আছে। টাইটানের এখন যে রূপ, তা একমাত্র পৃথিবী জন্মের প্রথম অবস্থায় ছিল। অর্থাৎ এতটা জলাশয়। তবে টাইটানে কীভাবে এত জল এল, তা তার মিথেন গ্যাস পরীক্ষা করলে বোঝা যাবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

কারণ, টাইটানের সমুদ্র গ্যাসের তরল অবস্থা থেকেই তৈরি বলে প্রাথমিক ধারণা তাঁদের।

এক বিজ্ঞানীর কথায়,  এদিন খুব দূরে নয় যখন এই ক্র্যাকেন মেয়ারে রোবোটিক সাবমেরিন চলাচল করতে পারবে। এই গভীরতার আন্দাজ পাওয়া খুব ভাল হয়েছে গবেষণার পক্ষে। এরপর টাইটানের জলের ঘনত্ব, তার প্রবাহ-এসব বিষয় অনেক সূক্ষ্মতার সঙ্গে জানা যাবে।

বিজ্ঞানীরা তো বটেই, সাধারণ কৌতূহলী মানুষও শনির উপগ্রহ সম্পর্কে আরও চমকপ্রদ তথ্য জানার জন্য অধীর অপেক্ষায়।

এস এস