ন্যাভিগেশন মেনু

শরীরে ভিটামিন ডি থাকলে, করোনা কাছে ঘেষতে পারবে না


আপনার শরীরে যদি ভিটামিন ডি (Vitamin D) থাকে তবে কুছ পরোয়া নেই। করোনা কাছে ঘেষতে পারবে না, বরছে গবেষণা।

অর্থাৎ ভিটামিন ডি হয়ে উঠতে পারে করোনা রোগীর বড় অবলম্বন। শরীরে ভিটামিন ডি’র মাত্রা ঠিক থাকলে কোভিড-১৯ (COVID-19) রোগীকে তা লড়াইয়ের শক্তি জোগায়।

ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবারগুলো হলো— ১) তৈলাক্ত ও চর্বিযুক্ত মাছ। যেমন স্যামন মাছ, টুনা মাছ ইত্যাদি। ২) মাশরুম। ৩) ডিমের কুসুম। ৪) পনির। ৫) দুধ।

ভিটামিন ডি থাকলে করোনা রোগীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হতে পারে। এমনকী শরীরে অক্সিজেনের অভাবও দূর করতে পারে ভিটামিন ডি। বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা থেকে তেমনটাই জানা যাচ্ছে।

গবেষকরা জানাচ্ছেন, ভিটামিন ডি অসুখের জটিলতাকে হ্রাস করতে পারে। এব্যাপারে প্রত্যক্ষ প্রমাণ পাওয়া গেছে। কোভিড-১৯ সংক্রমণে নানা ধরনের প্রোটিন রক্তে মিশে যেতে থাকে।

এর ফলে শরীর ক্রমেই মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যায়। ভিটামিন ডি এই পরিস্থিতিতে জীবনদায়ীর ভূমিকা পালন করতে পারে।

হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ২৩৫ জন কোভিড রোগীকে পর্যবেক্ষণ করে ভিটামিন ডি-র গুরুত্ব সম্পর্কে জানতে পেরেছেন গবেষকরা। ওই রোগীদের নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। তাঁদের শ্বাসকষ্ট হচ্ছে কিনা কিংবা তাঁরা কতদিনে করোনাকে পরাস্ত করতে পারছেন, তা খুঁটিয়ে দেখা হয়েছে।

দেখা গিয়েছে, এই রোগীদের মধ্যে মাত্র ৩২.৮ শতাংশ ক্ষেত্রেই ভিটামিন ডি-এর মাত্রা স্বাভাবিক ছিল। গবেষকরা জানাচ্ছেন, যাঁদের শরীরে এই মাত্রা স্বাভাবিক ছিল তাঁদের কোভিড-১৯ সংক্রমণের ফলে মৃত্যুর সম্ভাবনা সবচেয়ে কম ছিল। তাঁ

দের শরীরে হাইপক্সিয়া (শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ কমে যাওয়া) হওয়ার সম্ভাবনাও কমিয়েছে ভিটামিন ডি। পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকলে রোগীর অচেতন হয়ে পড়ার সম্ভাবনাও কমে।

হাড় বা পেশির যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি ভিটামিন ডি এভাবেই করোনা রোগীর শরীরে প্রতিরোধের বর্ম গড়ে তুলে তাঁর জীবন বাঁচাতে পারে। সেই সঙ্গে ফুসফুসকেও সজীব রেখে তার কর্মক্ষমতাও বাড়াতে পারে ভিটামিন ডি।

শরীরে ভিটামিন ডি-র ভারসাম্য বজায় রাখার কথা আগেও বলেছেন চিকিৎসকরা। নয়া গবেষণাও বুঝিয়ে দিচ্ছে এই অতিমারীর সময়ে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে ভিটামিন ডি।

এস এস