ন্যাভিগেশন মেনু

শরীরে মেলানোসাইট কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হলেই শ্বেতী দেখা দেয়


শ্বেতী বা ধবল রোগ নিয়ে আমাদের সমাজে নানা ধরনের কুসংস্কার প্রচলিত আছে। যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এ রোগ আসলে কেন হয়, সেটা সম্পর্কে অনেকেরই ধারণা নেই। 

যদিও এ রোগের বিজ্ঞানসম্মত কিছু কারণ রয়েছে। এ রোগের আদ্যোপান্ত সম্পর্কে বিস্তারিত জানাচ্ছেন মো. বিল্লাল হোসেন—

শ্বেতী বা ধবল : শ্বেতী বা ধবল রোগকে ইংরেজিতে লিউকোডারমা বা ভিটিলিগো বলা হয়। লিউকোডারমা নামকরণের পেছনে রয়েছে সুন্দর একটি বৈজ্ঞানিক কারণ। 

তা হলো- লিউকোডারমা শব্দটি ল্যাটিন শব্দ যা দুটি শব্দ সহযোগে তৈরি। এখানে লিউকো অর্থ সাদা এবং ডারমা অর্থ ত্বক। অর্থাৎ মেলানিনহরমোনের অভাবে ত্বকের রং সাদা হয়ে গেলে তখন তাকে লিউকোডারমা বলা হয়।

আমাদের ত্বকের কালো রং উৎপাদনের জন্য শরীরে যে কোষ রয়েছে, তাকে বলা হয় মেলানোসাইট। যদি কোনো কারণে একোষগুলো মারা যায় বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে দেহের মেলাটোনিন উৎপাদন ক্ষমতা কমে যায়। 

ফলে দেহের বিভিন্ন জায়গায় ছোট ছোট সাদা ছোপ তৈরি হয়, যাকে আমরা শ্বেতী বা ধবল রোগ বলি।

রোগের কারণ: আমাদের দেশে এ রোগ সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের কুসংস্কার প্রচলিত আছে। যেমন- মাছ ও দুধ একসাথে একই সময়ে খেলে এ রোগ হয়। এ ছাড়া কুমড়া ও দুধ অথবা পেঁয়াজ ও দুধ একসাথে খেলেএ রোগ হয় বলে প্রচলিত আছে। আসলে কথাগুলো সম্পূর্ণ ভুল। এর কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।

গ্রামের মানুষের মুখে আরও কিছু কথা প্রচলিত আছে। যেমন- রোগটি ছোঁয়াচে বা রক্তদূষণের ফলে রোগটি হয়। কথাগুলোও ভিত্তিহীন। 

প্রকৃতপক্ষে এ রোগের কারণ হলো অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা, তীব্র পেটের রোগ, জন্ডিস, পেটে কৃমি বা অন্য পরজীবী, টাইফয়েড, অতিরিক্ত ক্ষত ইত্যাদি। 

বংশগতিও এ রোগের একটি কারণ। গবেষণায় দেখা গেছে, কমপক্ষে ৩০ ভাগ রোগীর এটি বংশগত।

এস এস